আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনিরকে সৌদি আরব পাকিস্তানের সঙ্গে কৌশলগত ও প্রতিরক্ষা সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘কিং আব্দুল আজিজ মেডেল অব এক্সিলেন্স ক্লাস’ প্রদান করেছে। রোববার (২১ ডিসেম্বর) রিয়াদে এক অনুষ্ঠানে সৌদি বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজের নির্দেশে দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রিন্স খালিদ বিন সালমান এই পদক জেনারেল মুনিরকে তুলে দেন।
সৌদি প্রেস এজেন্সির (এসপিএ) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রিয়াদ সফরকালে জেনারেল আসিম মুনির সৌদি প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন। বৈঠকে দুই দেশের দীর্ঘদিনের ভ্রাতৃত্বপূর্ণ সম্পর্ক, সামরিক সহযোগিতা, এবং আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষায় যৌথ প্রচেষ্টার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
পদক প্রাপ্তি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের প্রতিরক্ষা কূটনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। দুই দেশ দীর্ঘদিন ধরে কৌশলগত এবং সামরিক অংশীদারিত্বে দৃঢ় সম্পর্ক বজায় রেখেছে। যৌথ প্রশিক্ষণ, সামরিক প্রযুক্তি বিনিময়, সশস্ত্র বাহিনী উন্নয়ন এবং প্রতিরক্ষা শিল্পে পারস্পরিক সহযোগিতা এই অংশীদারিত্বের মূল ভিত্তি।
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য, পাকিস্তান ও সৌদি আরবের সম্পর্ক রাজনৈতিক ও কৌশলগত মাত্রার পাশাপাশি অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা বিষয়েও বিস্তৃত। মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে সমন্বয়, এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে সহযোগিতা দুই দেশের মধ্যকার কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও দৃঢ় করেছে।
জেনারেল আসিম মুনিরের পদক প্রাপ্তি দুই দেশের সামরিক কূটনীতির পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্তরে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার প্রতীক হিসেবে দেখা হচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাকিস্তান এবং সৌদি আরব একাধিক যৌথ সামরিক মহড়া এবং কৌশলগত আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করেছে।
এছাড়া, পদক প্রদানের অনুষ্ঠান দুই দেশের উচ্চ পর্যায়ের সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করার ইঙ্গিত বহন করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, এটি মধ্যপ্রাচ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার কৌশলগত স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জেনারেল মুনিরের রিয়াদ সফর এবং পদক প্রাপ্তি পাকিস্তান ও সৌদি আরবের কৌশলগত সংযোগ, সামরিক সহযোগিতা এবং আঞ্চলিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় যৌথ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ একটি সুস্পষ্ট বার্তা প্রদান করেছে। এই পদক্ষেপ দুই দেশের মধ্যে ভবিষ্যতে আরও সম্প্রসারিত প্রতিরক্ষা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের পথ সুগম করতে পারে।