জাতীয় ডেস্ক
মির্জা ফখরুল লিখেছেন, “আজ যে বাংলাদেশ দেখছি—এ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমি কোনোদিন দেখিনি।” তিনি বলেন, তার স্বাধীনভাবে চিন্তা করার অধিকার এবং কথা বলার অধিকার ক্ষুণœ হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, জুলাই মাসে সংঘটিত যুদ্ধের ওপর আঘাত এসেছে, যা তিনি বাংলাদেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের অংশ হিসেবে উল্লেখ করেন।
মহাসচিব তার পোস্টে সাধারণ জনগণকে একত্রিত হওয়ার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এটি কোনো রাজনৈতিক দলের বিষয় নয়, সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের এখন এক হওয়ার সময় এসেছে। তিনি আরও বলেন, যারা অন্ধকার থেকে আলোতে আসতে চায় এবং বাংলাদেশকে সত্যিকারের স্বাধীন, সার্বভৌম, গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে দেখতে চায়, তাদেরকে শুধুমাত্র সচেতন থাকা নয়, সক্রিয়ভাবে প্রতিরোধ করতে হবে।
তিনি মন্তব্য করেন, “আজকে সর্বক্ষেত্রে সর্বশক্তি নিয়ে যারা বাংলাদেশকে ভালোবাসেন তারা সবাই ঐক্যবদ্ধ হোন। এই অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে।” মির্জা ফখরুলের এই আহ্বান মানুষকে একত্রিত হয়ে দেশকে গণতান্ত্রিক পথে এগিয়ে নেওয়ার গুরুত্বের দিকে নির্দেশ করে।
উল্লেখ্য, এই মন্তব্য তিনি সোমবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে অনুষ্ঠিত সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব আয়োজিত ‘মব ভায়োলেন্সে আক্রান্ত বাংলাদেশ’ শীর্ষক যৌথ প্রতিবাদ সভায় করেন। সভায় তিনি বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনগণের মৌলিক অধিকার সংরক্ষণের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেন। মহাসচিবের এই বক্তব্য বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতি জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধির প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করছে।
সভায় অংশগ্রহণকারীরা রাজনৈতিক সহিংসতা ও গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং সক্রিয় সংহতি ও সচেতনতার মাধ্যমে পরিস্থিতি মোকাবেলার আহ্বান জানান। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের মাধ্যমে রাজনৈতিক ও সামাজিক কর্মকাণ্ডের ক্ষেত্রে নাগরিকদের দায়িত্ব ও ভূমিকার ওপর বিশেষ জোর দেওয়া হয়েছে।
এ সময় তিনি বলেন, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় শুধু প্রতিবাদই যথেষ্ট নয়; সংগঠিত ও একতাবদ্ধভাবে সকল গণতান্ত্রিক মানুষকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। তিনি মনে করিয়ে দেন যে, এটি শুধুমাত্র রাজনৈতিক নেতাদের দায়িত্ব নয়, বরং প্রতিটি নাগরিকের অংশগ্রহণ দেশের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করার জন্য অপরিহার্য।