রাজনীতি ডেস্ক
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চট্টগ্রামের চারটি আসনে বিএনপি প্রার্থী তালিকায় পরিবর্তন করেছে। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চট্টগ্রাম-১১ আসনে স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে। এর আগে তাকে চট্টগ্রাম-১০ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছিল। চট্টগ্রাম-১০ আসনে এখন প্রার্থী হয়েছেন প্রয়াত বিএনপি নেতা আবদুল্লাহ আল নোমানের ছেলে, জাতীয়তাবাদী পাট শ্রমিক দলের সভাপতি সাঈদ আল নোমান।
চট্টগ্রাম-৪ আসনে প্রার্থী পরিবর্তন করে বিএনপি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা লায়ন আসলাম চৌধুরীকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। পূর্বে প্রাথমিকভাবে এই আসনে মনোনয়ন পান উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী সালাউদ্দিন। একইভাবে চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) আসনে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন পাওয়া গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীকে ছাড়িয়ে দল চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি গোলাম আকবর খোন্দকারকে চূড়ান্ত প্রার্থী করা হয়েছে।
এই চার আসনে নতুন ও পুরোনো নেতৃত্বের মধ্যে বিএনপির তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত ভিন্ন ধরনের আমেজ তৈরি হয়েছে। দলীয় নেতারা মনে করছেন, সকল স্তরের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলে দল শক্তিশালী হবে এবং প্রার্থী বিজয়ী হবে।
চট্টগ্রাম-৪ আসনের প্রার্থী আসলাম চৌধুরী বলেন, “শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন ও বিএনপির উন্নয়নমূলক রাজনীতি দেশের মানুষের হৃদয়ে অনন্য স্থান তৈরি করেছে। দল আমার প্রতি আস্থা রেখেছে, তাই আমি ভোটার ও সমর্থকদের সঙ্গে একযোগে কাজ করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব।”
চট্টগ্রাম-১০ আসনের প্রার্থী সাঈদ আল নোমান বলেন, “দল আমার ওপর যে আস্থা রেখেছে, তা আমার জন্য অনন্য সম্মান। আমি এই আস্থা রক্ষা করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব এবং আসনের মানুষের স্বপ্ন বাস্তবায়নে কাজ করব। ধানের শীষের বিজয়ের মাধ্যমে জনগণের আশা পূরণ হবে।”
চট্টগ্রাম-৬ আসনের প্রার্থী গোলাম আকবর খোন্দকার বলেন, “দলের আস্থা ও সমর্থন আমার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। রাউজানকে উন্নয়নের মডেল হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব এবং ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব।”
রাউজান উপজেলা বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক জসিম উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের সব ভেদাভেদ ভুলে প্রার্থীর পক্ষে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন। এ নিয়ে দলীয় নেতৃত্ব মনে করছেন, চারটি আসনে নতুন প্রার্থী ও মনোনয়ন পরিবর্তনের মাধ্যমে নির্বাচন মাঠে দলীয় শক্তি আরও দৃঢ় হবে।