দুপুরে উড়িষ্যা ও পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে আঘাত হানে ইয়াস। বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে ঢুকে পড়েছে নোনা পানি।
ইয়াসের সার্বিক প্রভাব নিয়ে আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমদ সাংবাদিকদের সামনে আসেন।
তিনি বলেন, ইয়াসের প্রভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে। উপকূলে ৩-৬ ফুট অধিক উচ্চতার জোয়ারের আশঙ্কা রয়েছে। এজন্য আমরা সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা দিয়েছি। সাগর শান্ত সেটা হলে নামাবো। নদীবন্দরগুলোতেও আমরা কোথাও ২ নম্বর, কোথাও ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দিয়েছি।
এখন আমাদের দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া, বজ্রসহ বৃষ্টিপাত নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। সবাইকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করবো।
সামছুদ্দিন আহমদ বলেন, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস বাংলাদেশ থেকে অনেক দূরে সরে গেছে। বিকেলে ঘূর্ণিঝড়ের শেষ বুলেটিন দেবো।
ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী আবহাওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতক্ষণ মেঘলা আবহাওয়া থাকবে, ততক্ষণ তাপমাত্রা ওঠানামা করবে। তবে তাপদাহ থাকবে না। কিন্তু জলীয়বাষ্পের অনুপ্রবেশ ঘটেছে ইয়াসের কারণে। তাই রোদ উঠলে অস্বস্তি করবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো বলেন, ঘূর্ণিঝড় উপকূল অতিক্রম করায় সাগর শান্ত হবে। তবে পূর্ণিমার প্রভাবটা এখন গুরুত্বপূর্ণ। এর কারণে জোয়ারের উচ্চতা বেড়ে যায়। তবে ঝড়ের আশঙ্কায় উপকূল ছেড়ে সরে যাওয়ার কারণ নেই। বাংলাদেশ দেশ ঝড় আরো দূরে সরে গেছে।
এই আবহাওয়াবিদ বলেন, এখন দমকা হাওয়া হবে। আমরা আগেই বলেছি। গত রাতেও খুলনায় ৫৯ কিমি বেগে দমকা হাওয়া বয়ে গেছে। এমনটা থাকবে।
দু’তিন দিন এই প্রভাব থাকবে। ধারাবাহিক বৃষ্টিপাত হবে না। স্বল্পস্থায়ী বৃষ্টিপাত হবে। মেঘ, রোদ, বৃষ্টি, ঝড়, এমন থাকবে আবহাওয়া।
ইয়াস আঘাত ধীরে ধীরে শক্তি ক্ষয় করে বৃহস্পতিবার নিম্নচাপে রূপ নেবে। ফলে ২৭ মে পর্যন্ত বাংলাদেশের উত্তর ও পশ্চিম সীমান্তবর্তী ভারতের জেলাগুলো ভারী বর্ষণের আভাস রয়েছে।
ইয়াস নামটি দিয়েছে ওমান, যা পার্সিয়ান শব্দ। ইংরেজিতে একে জেসমিস, বাংলায় জুঁই ফুল বলা হয়।