নারীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জেরে তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো সংসদ সদস্য ডা. মুরাদ হাসান কোথায় আছেন, কেউ বলতে পারছেন না।
কানাডা ও দুবাই ঢুকতে না পেরে তার দেশে ফিরে আসার কথা ছিল আজ রোববার সকালে। কিন্তু নির্ধারিত ফ্লাইটে তিনি দেশে ফিরেননি।
গত বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে কানাডার উদ্দেশে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যান মুরাদ হাসান।
কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, করোনা সংক্রমণের সময় কানাডার নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি সে দেশে প্রবেশ করতে পারেননি। এরপর তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায়, সেটা কানাডার কূটনৈতিক সূত্রগুলো স্পষ্ট করে জানাতে পারেনি।
কানাডাভিত্তিক একাধিক অনলাইনের বরাত দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলা হয়, টরন্টো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর মুরাদ হাসানকে ফিরিয়ে দেয়া হয়। বিশেষ করে বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত কানাডার নাগরিকদের অভিযোগের কারণে ভিসা থাকার পরও উত্তর আমেরিকার দেশটিতে প্রবেশের সুযোগ পাননি তিনি।
কানাডা প্রবেশে ব্যর্থ হয়ে মুরাদ হাসান শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পথে রওনা দেন।
এদিকে দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ( ইকে-৫৮২) বিমানে মুরাদ সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে দেশে ফিরছেন- এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ভিড় করেন। কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশে আসেননি।
এর আগে মুরাদ হাসানের বাংলাদেশে ফেরত আসা কিংবা তার অবস্থানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।