রাজশাহী নগরীতে ট্রাফিক পুলিশ মোটরসাইকেল আটকে দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে আগুন দিয়েছেন আশিক আলী (৩০) নামে এক যুবক। সোমবার (৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ২টার দিকে নগরীর কোর্ট হড়গ্রাম এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
মোটরসাইকেলটির মালিক আশিক আলী নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার কাঁঠালবাড়িয়া হাটুভাঙ্গার মোড় এলাকার আসাদ আলীর ছেলে। নিছক পাগলামি থেকেই তিনি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশের দেওয়া তথ্য মতে, রাজশাহীর কোর্টসংলগ্ন অকট্রয় মোড়ে কর্তব্যরত ছিলেন ট্রাফিক সার্জেন্ট কাইয়ুম।
সোমবার দুপুর আনুমানিক ১টার পর মোটরসাইকেল চালিয়ে ওই মোড় দিয়ে যাচ্ছিলেন আশিক আলী। এ সময় তার মোটরসাইকেল আটকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলেন সার্জেন্ট কাইয়ুম।
তবে তার কাছে কাগজপত্র না থাকায়, সার্জেন্টের কাছে কিছু সময় চান তিনি। আশিক সার্জেন্টকে মোটরসাইকেলের প্রয়োজনীয় কাগজ বাড়ি থেকে এনে দেখাবেন বলে জানান। তবে সার্জেন্ট তার সেই অনুরোধ না শুনে মোটরসাইকেলটি জব্দ করেন।
এরপর সার্জেন্ট কাইয়ুম রাস্তায় অন্য মোটরসাইকেলের কাগজপত্র চেক করতে গেলে আশিক আলী তার মোটরসাইকেলের কাছে গিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এ ঘটনার পরে আশিক আলীকে আটক করে ট্রাফিক অফিসে নিয়ে যাওয়া হয়।
ওই সময় কোর্ট রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় টহল দায়িত্বে ছিলেন নগরীর কাশিয়াডাঙ্গা থানার উপপরিদর্শক মৌসুমী আক্তার। খবর পেয়ে তিনি সেখানে যান।
মৌসুমী আক্তার জানান, একে তো মোটরসাইকেলে তিনজন আরোহী ছিলেন। তার ওপর তাদের কারোরই হেলমেট ছিল না। সঙ্গে মোটরসাইকেলটির কাগজপত্রও ছিল না।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের ডিসি অনির্বাণ চাকমা জানান, আশিক আলীর নামে রাজশাহীর একটি আদালতে ২০ লাখ টাকার একটি মামলা চলমান। সোমবার দুপুরে সে মামলায় হাজিরা দিয়ে তিনি ফিরছিলেন।
এ সময় সার্জেন্ট নিয়ম অনুসারে তার গাড়ির কাগজ দেখতে চান। তবে আশিক আলী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় তার মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়। এ সময় আশিক আলী ফাঁক বুঝে তার ওই মোটরসাইকেলটিতে আগুন ধরিয়ে দেন।
এদিকে একটি সূত্রের দেওয়া তথ্য মতে, আশিক আলীর এই মোটরসাইকেল এর আগেও নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ জব্দ করে। যা ছাড়াতে তাকে এ পর্যন্ত প্রায় ৬০ হাজার টাকা গুনতে হয়েছে। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি আজ গাড়িটি পুড়িয়ে দেন।