1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সচিবালয়ে আগুন: ৭ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত নতুন বছরে আলোচনায় থাকবে যেসব উদ্ভাবন উইকিপিডিয়া কীভাবে পরিচালিত হয়, কতটা নির্ভরযোগ্য এর তথ্য? এক্সক্লুসিভ কাটা-ছেঁড়া ছাড়ছে না ড্যাপকে সচিবালয়ে লাগা আগুন ১০ ঘণ্টা পর পুরোপুরি নিভল প্রাণঘাতী কমিয়ে শর্ট ব্যারেল অস্ত্র তিন বিভাগে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির আভাস জাহাজে ৭ খুন: লাশ নিতে স্বজনদের ভিড়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি গঠন ৪৩ বিলিয়নের চাপে দেশ ♦ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রকল্পে বিদেশি ঋণ কিস্তি পরিশোধের ঝুঁকি ♦ অন্তর্বর্তী সরকারকে পরিশোধ করতে হবে ২.৬ বিলিয়ন, বাকি দায় যাবে নির্বাচিত সরকারের ঘাড়ে Khulna-Dhaka train services via Padma Bridge begin officially

বাজারে ডিমের দাম ও জোগান ঠিক রাখতে নতুন সিদ্ধান্ত

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর, ২০২৪
  • ২৫ বার দেখা হয়েছে

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ঢাকা

 

রাজধানীর বাজারে ডিমের সরবরাহ বাড়িয়ে দাম কমানোর লক্ষ্যে নতুন সিদ্ধান্ত হয়েছে। এখন থেকে ডিম উৎপাদক বড় কোম্পানি ও ছোট খামারিরা সরকার নির্ধারিত দামে সরাসরি পাইকারি আড়তে ডিম পাঠাবে। এর মধে৵ কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। ফলে পাইকারি বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন।

আজ মঙ্গলবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কার্যালয়ে ডিমের দাম ও সরবরাহ নিয়ে আয়োজিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়। সভায় ডিমের উৎপাদক, পাইকারি বিক্রেতা ও সরবরাহে যুক্ত অংশীজনেরা উপস্থিত ছিলেন। বাজারে ডিমের দাম বেশ অনেকটা বেড়ে যাওয়ার পর নতুন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলো।

সম্প্রতি কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ডিমের ‘যৌক্তিক দাম’ নির্ধারণ করে দেয়। নির্ধারিত দাম অনুসারে, প্রতিটি ডিমের দাম উৎপাদন পর্যায়ে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা, পাইকারি পর্যায়ে ১১ টাকা ০১ পয়সা ও খুচরা পর্যায়ে ১১ টাকা ৮৭ পয়সা (ডজন ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা) হওয়ার কথা। তবে বাজারে এর চেয়ে অনেক বেশি দামে ডিম বিক্রি হচ্ছে। আজ মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে প্রতি ডজন ডিম ১৮০–১৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ডিমের বড় পাইকারি আড়তে গত দুই দিন ধরে ডিম বিক্রি বন্ধ রেখেছেন ব্যবসায়ীরা। ভোক্তা অধিদপ্তরে আজকের বৈঠকের পরে অবশ্য পুনরায় ডিম বিক্রি শুরু করার কথা জানিয়েছেন আড়তদারেরা।

তেজগাঁওয়ের ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, উৎপাদক পর্যায় থেকে একাধিক হাত ঘুরে তাদের আড়তে ডিম আসে এবং তাদের কাছে আসার আগেই ডিমের দাম বেড়ে যায়। এ কারণে গত কিছুদিন তাঁরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম কেনা কিংবা বিক্রি কোনোটিই করতে পারছেন না; বরং কেনা দাম ভিত্তিতে ডিম বিক্রি করতে গিয়ে জরিমানার মুখে পড়েছেন তাঁরা। এ কারণে ব্যবসায়ীরা দুই দিন ডিম বিক্রি বন্ধ রাখেন।

এই দুই দিনে রাজধানীর অন্যতম প্রধান একটি আড়তে ডিম বিক্রি বন্ধ থাকায় বিভিন্ন বাজারে সরবরাহের সংকট তৈরি হয়েছে। এ সমস্যা সমাধানের পথ খুঁজে বের করতে আজ ভোক্তা অধিদপ্তরে খাত–সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সভা ডাকা হয়। সভায় কাজী ফার্ম, প্যারাগন ও সিপিসহ বড় করপোরেট ব্যবসায়ী ও খামারিরা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি তেঁজগাও এবং কাপ্তানবাজারের ব্যবসায়ীরাও উপস্থিত ছিলেন।

সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আলীম আক্তার খান। তিনি জানান, হঠাৎ করে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো মধ্যস্বত্বভোগী। উৎপাদন থেকে পাইকারি পর্যায়ে ডিম বিক্রির ক্ষেত্রে কিছু কারসাজি রয়েছে। তাঁরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন যে উৎপাদনকারী থেকে ভোক্তা পর্যায় পর্যন্ত ডিম পাঁচবার হাত বদল হয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে দু–তিনটি হাত (ধাপ) কমবে। ফলে ক্রেতারা কম দামে ডিম কিনতে পারবেন।

আলীম আক্তার খান বলেন, ‘সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামীকাল বুধবার থেকে করপোরেট ব্যবসায়ী ও খামারিরা সরকার নির্ধারিত যৌক্তিক মূল্যে সরাসরি পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে ডিম সরবরাহ করবে। পাইকারি ব্যবসায়ীরাও যৌক্তিক দামে খুচরা বিক্রেতাদের কাছে ডিম বিক্রি করবেন। মাঝখানে কোনো মধ্যস্বত্বভোগী থাকবে না। বড় ব্যবসায়ীরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাই আমরা নিশ্চিত হতে পারি যে পাইকারি ব্যবসায়ীরা সরকার নির্ধারিত দামে ডিম পাবেন। তাঁরা আমাদের যে কথা দিয়েছেন, আমরা তাঁদের সেই কথার ওপর বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে চাই।’

পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়েও যেন মধ্যস্বত্বভোগী না থাকে, সেই দিকও দেখা হবে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, নতুন এ পদ্ধতিতে দুই সপ্তাহ পর্যন্ত ডিম বিক্রির কার্যক্রম চলবে। এ সময়ে কর্মকর্তারা পর্যালোচনা করে দেখবেন যে এই পদ্ধতি আগামী দিনেও চলমান রাখা যাবে কি না।

নতুন এই কার্যক্রম সফল হলে পরে ঢাকার বড় বাজারগুলোতে উৎপাদকেরা আলাদা জায়গা নির্ধারণ করবে ডিলারের মাধ্যমে। সেখানে তারা সরাসরি ডিম সরবরাহ করতে পারে। এমন একটি উদ্যেগের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

আলীম আক্তার খান আরও বলেন, ‘ভোক্তারা যাতে ১১ টাকা ৮৭ পয়সার মধ্যে প্রতিটি ডিম কিনতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করার জন্য আমরা কাজ করছি। ব্যবসায়ীরা আমাদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। আমরা বলেছি, আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। দোকান বন্ধ রাখার বিষয়টি কাঙ্ক্ষিত নয়। আমরা বলেছি, তারা যেন দোকান বন্ধ না রাখেন।’

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com