1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:৫৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরাতে আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি শুরু

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৬ বার দেখা হয়েছে

বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল করার লক্ষ্যে দায়ের করা আপিলের তৃতীয় দিনের শুনানি আজ (বৃহস্পতিবার) শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যবিশিষ্ট আপিল বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই শুনানিতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত আছেন ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী।

এটি নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংক্রান্ত আপিলের তৃতীয় দিন। গতকাল (বুধবার) দ্বিতীয় দিনের শুনানিতে রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া শুনানি সম্পন্ন করেন। ২১ অক্টোবর শুরু হওয়া এই আপিলটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে করা হয়। এর আগে, ২৭ আগস্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা আবেদনের শুনানি শেষে আপিলের অনুমতি প্রদান করা হয়।

এখন পর্যন্ত বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ ব্যক্তি, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সহ অন্যান্যরা এই বিষয়ে আপিল করেছেন।

১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনী গৃহীত হয়। কিন্তু ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে হাইকোর্টে রিট দাখিল করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট বিভাগ ওই রিট খারিজ করে এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এরপর, ২০০৫ সালে সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করা হয় এবং ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেন। এরপর, ২০১১ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বিলোপ এবং পঞ্চদশ সংশোধনী আইন পাস করা হয়, যা পরবর্তীতে গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার বিলোপের পর, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ ৫ বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০১১ সালে রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। পরবর্তীতে, ১৬ অক্টোবর ২০১৯ সালে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও একই বিষয়ে রিভিউ আবেদন করেন। জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও একই আবেদন করেছেন গত বছর।

এরপর, গত বছর আরও এক ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন। তিনি নওগাঁর রানীনগর উপজেলার নারায়ণপাড়া এলাকার বাসিন্দা।

এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে আদালতে শুনানির জন্য কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ আবেদন হয়েছে এবং প্রতিটি আবেদনে নানা আইনি প্রশ্ন উঠে এসেছে। দেশের রাজনৈতিক, সাংবিধানিক প্রেক্ষাপটে এই আপিলের ফলাফল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বিচারবিভাগের এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ফেরানোর চেষ্টা এবং সংবিধান সংশোধনী বিষয়ক একটি ন্যায়বিচারের দিক নির্দেশনা নির্ধারিত হবে।

এখনকার পরিস্থিতিতে, আদালতের এই রায় এবং সিদ্ধান্ত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে, বিশেষ করে বাংলাদেশের নির্বাচন ব্যবস্থা এবং শাসন কাঠামোর ভবিষ্যতের দিকে নজর রেখে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রশ্নে এই আপিলের ফলাফলের দিকে সবার নজর রয়েছে। একই সাথে, সরকারের পক্ষ থেকেও আদালতের রায়ের ওপর বিভিন্ন প্রতিক্রিয়া আসতে পারে, যা দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com