1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

নির্বাচনকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য আপিলের শুনানি

রিপোর্টার
  • আপডেট : মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২২ বার দেখা হয়েছে

নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের জন্য করা আপিলের চতুর্থ দিনের শুনানি আজ (২৮ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪০ মিনিটে সুপ্রিম কোর্টে শুরু হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে এই শুনানি অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে শুনানি করছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

এই আপিলের প্রেক্ষাপট শুরু হয় গত ২২ অক্টোবর থেকে, যখন রিটকারী বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে ড. শরীফ ভূঁইয়া প্রথম দিন শুনানি করেন। এর পর ২৩ অক্টোবর দ্বিতীয় দিনে, ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিকী আদালতে ইন্টারভেনর হিসেবে উপস্থিত হয়ে শুনানি করেন। এখন পর্যন্ত যথাক্রমে তৃতীয় ও চতুর্থ দিনের শুনানি চলমান রয়েছে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী দ্বারা সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে, এর বৈধতা নিয়ে আইনি লড়াই শুরু হয় ১৯৯৮ সালে, যখন অ্যাডভোকেট এম সলিম উল্লাহসহ তিনজন আইনজীবী হাইকোর্টে রিট করেন। সেই সময় হাইকোর্টে বিশেষ বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট রায় দেয় এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা করে।

এ রায়ের পর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বৈধতা নিয়ে আপিল করা হয়। ২০০৫ সালে এই আপিল মঞ্জুর করা হয় এবং ২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করে রায় দেয়। এর ফলস্বরূপ, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিলোপসহ পঞ্চদশ সংশোধনী আইনটি ২০১১ সালের ৩০ জুন জাতীয় সংসদে গৃহীত হয় এবং পরবর্তীতে ৩ জুলাই গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়।

২০১১ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা বাতিল হওয়া সত্ত্বেও, বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি সরকারের সুশাসন এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ফেরাতে আবেদন করেন। ২০১৫ সালে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হয় এবং আপিল বিভাগের রিভিউ পিটিশন শুনানি শুরু হয়। এর মধ্যে, ২০২৩ সালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পৃথকভাবে রিভিউ আবেদন করেন।

এছাড়া, গত বছর (২০২৪) নওগাঁর রানীনগর এলাকার মুক্তিযোদ্ধা মো. মোফাজ্জল হোসেনও আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন।

এ মুহূর্তে, বিশেষজ্ঞরা ধারণা করছেন যে, আপিল বিভাগের এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে দেশের রাজনৈতিক ভবিষ্যত এবং নির্বাচন ব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আসতে পারে। বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে, বিভিন্ন দল তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার পুনঃপ্রবর্তনকে তাদের স্বার্থের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মনে করছে।

এছাড়া, সংবিধান সংশোধনী এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বৈধতা নিয়ে চলমান আইনি লড়াই দেশের আইন-শৃঙ্খলা ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে, জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক জটিলতা বাড়তে পারে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবির মধ্য দিয়ে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আগামীতে দেশের আইনগত এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার দিকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করতে পারে।

এই শুনানি ও এর ফলাফলের প্রতি দেশবাসীর নজর রয়েছে। আদালতের রায় যে দিকে মোড় নিবে, তা দেশের নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং রাজনৈতিক পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com