জাতীয় ডেস্ক
সারাদেশে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এক দিনে ১,৫৭০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ, যাদের মধ্যে মামলা ও পরোয়ানাভুক্ত আসামি ১,০৩৮ জন এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ৫৩২ জন অন্তর্ভুক্ত।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকালে পুলিশের সদর দপ্তরের সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি–গণমাধ্যম ও জনসংযোগ) এ এইচ এম শাহাদাত হোসেন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন।
পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যানুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সব বিভাগ, জেলা ও মহানগর এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা একযোগে এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানকালে পলাতক আসামি, আদালতের পরোয়ানাভুক্ত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন অপরাধে জড়িত সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়।
এ সময় অভিযানকারীরা অস্ত্র উদ্ধারেও সাফল্য পায়। জব্দ করা হয়েছে—
বার্মিজ টিপ চাকু ২টি,
৭ এমএম পিস্তল ১টি,
৭.৭ এমএম পিস্তলের খালি ম্যাগাজিন ১টি,
৭.৬২ এমএম পিস্তলের খালি ম্যাগাজিন ১টি, এবং
রামদা ৭টি।
এআইজি শাহাদাত হোসেন বলেন, “দেশের সামগ্রিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অপরাধ নিয়ন্ত্রণে আনতে এই বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। যারা আদালতের পরোয়ানাভুক্ত কিংবা মামলার আসামি, তাদের আইনের আওতায় আনাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য।”
তিনি আরও জানান, “অভিযান চলাকালে কোনো রাজনৈতিক বিবেচনা করা হয়নি। আইন অনুযায়ী অপরাধে জড়িত বা পলাতক ব্যক্তিদের গ্রেফতার করাই পুলিশের দায়িত্ব, যা যথাযথভাবে পালন করা হচ্ছে।”
পুলিশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বিশেষ অভিযান মূলত অস্ত্র উদ্ধার, মাদক নিয়ন্ত্রণ, জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ ও সাধারণ অপরাধ দমন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে পরিচালিত হচ্ছে। সম্প্রতি কিছু এলাকায় অপরাধের প্রবণতা বৃদ্ধি পাওয়ায় পুলিশ সদর দপ্তর থেকে সব থানা ও ইউনিটকে সমন্বিতভাবে অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী প্রেরণ কার্যক্রম চলছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, দেশে নিরাপত্তা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে এবং অপরাধী চক্রের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। স্থানীয় পর্যায়ে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনেরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, ধারাবাহিক এই অভিযান অপরাধ দমনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে এবং জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাবোধ জোরদার করবে।