1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২০ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে শাবানার দীর্ঘ ও প্রভাবশালী পথচলা অল্প সময়ে অভিনয়ে পরিচিতি গড়ে তুলেছেন তটিনী সংসদ নির্বাচনের অনিয়ম তদন্তে বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে ৩০০ অনুসন্ধান কমিটি গঠন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদির ওপর হামলার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ডিএসসু নেতাদের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে উত্তরা পশ্চিম থানায় চার জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাংলা ভাষাভিত্তিক এআই প্ল্যাটফর্ম ‘কাগজ ডট এআই’ ও নতুন বাংলা ফন্ট ‘জুলাই’ উদ্বোধন আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে অনুকূল পরিবেশের কথা জানালেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ সুদানে হামলায় নিহত ৬ বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী: শোক প্রকাশ নৌপরিবহন উপদেষ্টার জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সাজা বাড়াতে প্রসিকিউশনের আপিল ২০২৪ সালের জুলাই বিপ্লবকে বাংলাদেশের দীর্ঘ গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ধারাবাহিকতা হিসেবে উল্লেখ করলেন মাহফুজ আলম

বিদ্যুৎ সরবরাহের বিরোধ নিষ্পত্তির জন্য আদানি পাওয়ার আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া গ্রহণ করবে

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৫ নভেম্বর, ২০২৫
  • ২৯ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের অর্থপ্রদানের বিরোধ নিষ্পত্তি করতে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া গ্রহণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতের গৌতম আদানির মালিকানাধীন বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ার। সোমবার আদানি গ্রুপ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) এবং আদানি পাওয়ারের মধ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের অর্থ পরিশোধ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। ২০১৭ সালে উভয় পক্ষের মধ্যে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির আওতায় আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের বিদ্যুৎ সরবরাহ করে আসছে। তবে, নির্দিষ্ট খাতের ব্যয় হিসাব এবং বিল করার পদ্ধতি নিয়ে মতবিরোধের কারণে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে, উভয়পক্ষই বর্তমানে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার জন্য সম্মত হয়েছে।

বিপিডিবির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আলোচনা এখনও চলমান। প্রয়োজন হলে, আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়ায় যাওয়া হবে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান জানান, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে এবং আশা করা হচ্ছে যে দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।

চুক্তির বিস্তারিত এবং কর সুবিধা

২০১৭ সালে আদানি পাওয়ারের ঝাড়খণ্ডের গড্ডা কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের বিষয়ে ২৫ বছর মেয়াদী একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তির অধীনে, আদানি পাওয়ার বাংলাদেশের মোট বিদ্যুৎ চাহিদার প্রায় এক-দশমাংশ পূরণ করে থাকে।

গত ডিসেম্বরে রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আদানি গ্রুপের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ তুলেছিল। অভিযোগ ছিল, আদানি পাওয়ার ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে প্রাপ্ত কর ছাড় সুবিধা বাংলাদেশের জন্য না দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহের দাম বৃদ্ধি করেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে আদানি পাওয়ারকে প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের জন্য ১৪.৮৭ টাকা পরিশোধ করা হয়, যা অন্যান্য ভারতীয় বিদ্যুৎ সরবরাহকারী কোম্পানির তুলনায় অনেক বেশি।

বকেয়া পরিমাণের পরিবর্তন

গত মে মাসে আদানি পাওয়ারের বকেয়ার পরিমাণ প্রায় ৯০০ মিলিয়ন ডলারে নেমে আসে, যা চলতি বছরের শুরুতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার ছিল। বর্তমানে, বাংলাদেশের কাছে আদানি পাওয়ারের বকেয়া পরিমাণ প্রায় ১৫ দিনের শুল্কের সমান বলে জানা গেছে।

আদানি পাওয়ারের বিবৃতিতে জানানো হয়, কোম্পানিটি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং বাংলাদেশে নির্ভরযোগ্য, সাশ্রয়ী ও উচ্চমানের বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রাখবে।

কর ছাড় ও সংশ্লিষ্ট সমস্যা

আদানি পাওয়ারের গড্ডা প্ল্যান্টটি কয়লা আমদানির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে এবং পুরো উৎপাদিত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে সরবরাহ করা হয়। ২০১৯ সালে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার গড্ডা প্ল্যান্টটিকে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে, যা আদানি পাওয়ারকে আয়কর ও অন্যান্য শুল্ক ছাড় সুবিধা প্রদান করে। তবে, বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য এই সুবিধার পরিপ্রেক্ষিতে দাম কমানোর বিষয়টি উপেক্ষিত হয় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী চিঠি বিনিময়ের পরেও আদানি পাওয়ার বিপিডিবির কাছ থেকে কোন সাড়া পায়নি বলে জানা গেছে। বিপিডিবি কর্মকর্তারা দাবি করেন, কর ছাড় সুবিধা বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে প্রায় ০.৩৫ সেন্ট সাশ্রয় করতে পারত।

সমস্যার প্রভাব

গড্ডা প্ল্যান্ট থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে ৮ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ইউনিট বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে। কর ছাড়ের সমন্বয় হলে, এই বিদ্যুতের মাধ্যমে বাংলাদেশ প্রায় ২৮.৬ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় করতে পারত।

এই বিরোধের সমাধান দ্রুত কার্যকর না হলে, বিদ্যুৎ সরবরাহ ও দামের বিষয়ে বাংলাদেশে নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। আদানি পাওয়ার ও বিপিডিবির মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে দ্রুত একটি সমাধান আশা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com