জাতীয় ডেস্ক
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ আজ (সোমবার, ১০ নভেম্বর) পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এই মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ পরিচালনা করছেন। ট্রাইব্যুনালের অন্যান্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ এবং অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
আজ দুজন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। গত ৪ নভেম্বর দুজন সাক্ষী তাদের বক্তব্য দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. গোলাম কিবরিয়া খান এবং অপরজন ছিলেন তদন্ত সংস্থার সহকারী লাইব্রেরিয়ান কনস্টেবল আবু বকর সিদ্দিক। সাক্ষ্যগ্রহণের পর তারা পলাতক আসামিদের পক্ষে থাকা আইনজীবী ও গ্রেপ্তার আসামিদের আইনজীবীদের জেরা ও প্রশ্নের সম্মুখীন হন। এ পর্যন্ত মামলায় ছয়জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করছেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর ফারুক আহাম্মদ, প্রসিকিউটর সাইমুম রেজা তালুকদার ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
সাক্ষ্যগ্রহণের আগে ৩ নভেম্বর তৃতীয় ও চতুর্থ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন শহীদ মো. নাদিম মিজানের স্ত্রী তাবাসসুম আক্তার নিহা ও প্রত্যক্ষদর্শী মো. ইয়াকুব। তারা গত বছরের ১৯ জুলাই রামপুরার বনশ্রীতে পুলিশের, বিজিবি ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দ্বারা সংঘটিত নৃশংস-নির্মমতার বিষয়টি ট্রাইব্যুনালের সামনে তুলে ধরেন। এছাড়া, ঘটনার সঙ্গে যুক্তদের বিচার দাবি করেন।
সাক্ষ্যগ্রহণের এই পর্যায়ে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ ও প্রমাণের আলোকে আসামিদের বিরুদ্ধে কার্যক্রমের যথাযথ প্রক্রিয়া নিশ্চিত করছে। মামলার শুনানি চলমান থাকায় আগামীতে আরও সাক্ষীদের জবানবন্দি নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।