আইন আদালত ডেস্কঃ
সিরাজগঞ্জে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত তিনজন—জেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোহানুর রহমান খান রঞ্জু, জেলা ছাত্রদলের সদস্য সুমন এবং বিএনপি কর্মী আব্দুল লতিফ—সংক্রান্ত তিনটি মামলার চার্জশিট আদালতে দাখিল করেছে পুলিশ। এই তিন মামলায় মোট ৫৪৯ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১০ নভেম্বর) দুপুরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ৫ নভেম্বর চার্জশিটগুলো আদালতে দাখিল করা হয়।
প্রত্যেক মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে হুকুমের আসামি করা হয়েছে। অন্যান্য উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন সিরাজগঞ্জ-২ আসনের অপসারিত এমপি ড. জান্নাত আরা হেনরী, একই আসনের সাবেক এমপি ড. হাবিবে মিল্লাত মুন্না, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার অপু, সিরাজগঞ্জ জেলা পরিষদের অপসারিত চেয়ারম্যান শামীম তালুকদার লাবু, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. কে এম হোসেন আলী হাসান, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সামাদ তালুকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান রিয়াজ উদ্দিন, সিরাজগঞ্জ পৌরসভার মেয়র সৈয়দ আব্দুর রউফ মুক্তা, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম সজল ও পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট সিরাজগঞ্জ শহরে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সংঘর্ষের সময় গুলিতে রঞ্জু, সুমন ও আব্দুল লতিফ নিহত হন। এরপর ২২ আগস্ট তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথকভাবে ১৫০–১৫৯ জনকে এজাহারভুক্ত করে মামলা দায়ের করা হয়। প্রতিটি মামলায় ১০০ থেকে ১৫০ জন অজ্ঞাতনামা আসামীও যুক্ত করা হয়েছে।
রঞ্জু হত্যা মামলায় ১৫০ জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছিল, তদন্ত শেষে ১৯৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। সুমনের ক্ষেত্রে ১৫৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছিল, চার্জশিটে ১৭৬ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন। আব্দুল লতিফ হত্যা মামলায় ১৫৯ জনকে এজাহারভুক্ত করা হয়েছিল, চার্জশিটে ১৭৮ জন অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
সিরাজগঞ্জ কোর্ট পুলিশের ওসি রওশন ইয়াজদানী জানিয়েছেন, মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার পর ক্রটি-বিচ্যুতি যাচাই-বাচাই চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে এগুলো আদালতে উপস্থাপন করা হবে।