জাতীয় ডেস্ক
হাইকোর্ট বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি আসন করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট অবৈধ ঘোষণা করেছেন। একই সঙ্গে আদালত পূর্বের মতো বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন বহাল রাখার নির্দেশ দিয়েছেন।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিচারপতি শশাঙ্ক শেখর সরকার ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ার কাজলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট একটি রুল জারি করেছিলেন, যেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল বাগেরহাটের চারটি সংসদীয় আসন কেন বহাল থাকবে না এবং চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার নির্বাচন কমিশনের গেজেট কেন অবৈধ হবে না। রুলে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্টদের ১০ দিনের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি বিশ্বজিৎ দেবনাথের বেঞ্চ সেই রুল জারি করেছিলেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার শেখ মুহাম্মদ জাকির হোসেন। তাকে সহযোগিতা করেন অ্যাডভোকেট বিপ্লব কুমার পোদ্দার, অ্যাডভোকেট ফয়সাল মোস্তফা, অ্যাডভোকেট রাজিয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার কাজী সামান্তা এনাম, অ্যাডভোকেট আমিনুজ্জামান সোহাগ, অ্যাডভোকেট এনামুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ও অ্যাডভোকেট তানভীর আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ইকরামুল কবির।
বাগেরহাটের চারটি আসনের সংখ্যা কমানো নিয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেটটি মূলত ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রেক্ষাপটে জারি করা হয়েছিল। তবে হাইকোর্টের এই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ভোটার ও এলাকায় রাজনৈতিক ভারসাম্য বজায় রাখতে পূর্বের মতো চারটি আসনই বজায় থাকবে।
আদালতের নির্দেশিত আদেশ অনুযায়ী, সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও নির্বাচন কমিশনকে আগের মতো চারটি আসনের ভিত্তিতে স্থানীয় প্রস্তুতি নিতে হবে। এই আদেশ নির্বাচন কমিশনের গেজেট সংশোধনের পাশাপাশি বাগেরহাটের ভোটার ও রাজনৈতিক দলের জন্য স্পষ্ট কাঠামো স্থাপন করবে।
এ ধরনের আদালতের নির্দেশ সাধারণত নির্বাচনপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সংবিধানগত বিধান রক্ষা করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। ভবিষ্যতে বাগেরহাটে সংসদীয় আসনের সংখ্যা সংক্রান্ত যে কোনো পরিবর্তনের ক্ষেত্রে হাইকোর্টের এই আদেশ একটি দিকনির্দেশ হিসেবে কাজ করবে।