জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা: গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাটের ক্রয়, দান, হেবা, নামজারি, হস্তান্তর, আম-মোক্তার বা ঋণ অনুমতির ক্ষেত্রে লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন গ্রহণের প্রথা বাতিল করে নতুন ৭ দফা নির্দেশনা জারি করেছে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে গৃহায়ন মন্ত্রণালয় এবং এর আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা কর্তৃক উন্নয়নকৃত প্লট ও ফ্ল্যাট হস্তান্তরের প্রক্রিয়া সহজ এবং জনসাধারণের দুর্ভোগ কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে।
আজ (মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর) গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মো. নুরুল আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের অধীনে যেসব আবাসিক প্লট ও ফ্ল্যাট উন্নয়ন করা হয়েছে, সেগুলোর জন্য লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন প্রয়োজন হবে না। তবে, কিছু বিশেষ পরিস্থিতি যেমন প্লটের বিভাজন বা একাধিক প্লটের একত্রীকরণ, মাস্টার প্ল্যানের পরিবর্তন এবং প্লট বা ফ্ল্যাটের ব্যবহার শ্রেণি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে।
নতুন প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, যে সকল আবাসিক প্লট বা ফ্ল্যাটের মালিকানা নিয়ে কোনো বিরোধ রয়েছে, সেইসব প্লটের জন্য অনুমোদন গ্রহণের প্রথা বহাল থাকবে। একইভাবে, পরিত্যক্ত সম্পত্তি এবং বিশেষ বিবেচনায় বরাদ্দ দেওয়া প্লটগুলোর ক্ষেত্রে লিজদাতা প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন গ্রহণের প্রথা অব্যাহত থাকবে।
এছাড়া, প্লট বা ফ্ল্যাটের হস্তান্তর বা নামজারির ক্ষেত্রে দলিল মূল্য অনুযায়ী নির্দিষ্ট হারে সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ফি প্রদান করতে হবে। গৃহায়ন মন্ত্রণালয় এবং গণপূর্ত অধিদপ্তর উন্নয়নকৃত প্লট ও ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে একই হারে এবং পদ্ধতিতে নন-ট্যাক্স রেভিনিউ (এনটিআর) হিসেবে ফি আদায় করবে।
লিজদাতা প্রতিষ্ঠানকে মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ পরিহার এবং মালিকানা রেকর্ড হালনাগাদ রাখার জন্য নতুন নিয়মের অধীনে দলিল সম্পাদনের পর অবিকল নকলের একটি কপি লিজদাতা প্রতিষ্ঠানে দাখিল করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা না করলে জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন এই নির্দেশনাটি প্লট বা ফ্ল্যাটের মালিকানায় সহজতা আনার পাশাপাশি সেবা প্রাপ্তি সহজ করতে এবং দুর্নীতি রোধে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।