নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সোমবার (১৭ নভেম্বর) রাজধানীজুড়ে নাশকতা ও সহিংসতার পরিকল্পনা, ঝটিকা মিছিল এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় ২৫ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ এবং তার সহযোগী সংগঠনের সদস্য।
ডিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা রাজনৈতিক সহিংসতার পরিকল্পনা, সড়কে ঝটিকা মিছিল বের করা এবং ককটেল বিস্ফোরণের মতো কার্যক্রমে যুক্ত ছিল। এ ব্যাপারে আইনগত পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বিশেষত, জুলাই মাসে ঘটে যাওয়া গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে এই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। রায় ঘোষণার পর দেশে কোনো ধরনের অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি না হওয়ার জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।
হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আশপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহুলাংশে বাড়ানো হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের চারপাশে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সামনে এবং এর অভ্যন্তরে র্যাব, পুলিশসহ অন্যান্য বাহিনীর নিরাপত্তা ব্যবস্থা অত্যন্ত শক্তিশালী করা হয়েছে।
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে বিশেষত, দোয়েল চত্বর থেকে শিক্ষাভবনমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে এবং সন্দেহভাজনদের তল্লাশি ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ চেকপোস্টগুলোর সংখ্যা বাড়িয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করছে।
এ ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বৃদ্ধির মধ্যে দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী একটি শৃঙ্খলিত ও নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করতে চায়, যাতে কোনো ধরনের সহিংসতা বা নাশকতা সৃষ্টির সুযোগ না পাওয়া যায়।