জাতীয় ডেস্ক
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার সহায়তা চেয়ে বলেছেন, আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে আয়োজন করা প্রয়োজন।
বুধবার মিরপুর সেনানিবাসে ডিএসসিএসসি কমপ্লেক্সে সামরিক বাহিনী কমান্ড অ্যান্ড স্টাফ কলেজ (ডিএসসিএসসি) কোর্স-২০২৫-এর সনদ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা এই আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “এখন নির্বাচনের সময়। আমরা প্রস্তুত, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। আমাদের সামরিক বাহিনী, পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সহায়তা প্রয়োজন।”
ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রয়াস। তিনি বলেন, “অভ্যুত্থান থেকে নির্বাচনের পথে যাত্রা, এটি হবে শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর, আনন্দ এবং মিলনের সময়। সাধারণ মানুষ তাদের আশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রকাশ করতে পারবে।”
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, নিরাপদ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সক্রিয় অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ। সামরিক এবং পুলিশ বাহিনী নির্বাচনী প্রস্তুতিতে সরাসরি দায়িত্ব পালন করবে, যার মধ্যে থাকবে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, আইন ও শৃঙ্খলা বজায় রাখা এবং নির্বাচনী সহিংসতা প্রতিরোধ।
এছাড়া, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সমন্বয় করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোটারদের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করবে। গত নির্বাচনের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, প্রার্থীদের নিরাপদ ভোট প্রদান এবং ভোটারদের শান্তিপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সরকারি পরিকল্পনায় নির্বাচনের সময়ে বিভিন্ন জেলায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণের প্রস্তাব রয়েছে। এতে কেন্দ্রে কেন্দ্রে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করা হবে, এবং বিশেষ নিরাপত্তা কৌশল প্রয়োগের মাধ্যমে সম্ভাব্য বিশৃঙ্খলা ও হিংসার ঘটনা প্রতিরোধ করা হবে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যকরী অংশগ্রহণ শুধুমাত্র ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে না, বরং ভোটারদের মধ্যে স্বচ্ছতার অনুভূতিও বৃদ্ধি করবে। এটি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার পাশাপাশি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এছাড়া, সামরিক এবং পুলিশ বাহিনীর সহযোগিতায় নির্বাচনের সময় জনসাধারণের অবাধ ও নিরপেক্ষ ভোটের পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে। নির্বাচনী কর্মকর্তারা ইতিমধ্যেই কেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাই শুরু করেছেন এবং ভোটারদের সুবিধার্থে বিভিন্ন নিরাপত্তা নির্দেশনা প্রদান করা হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই আহ্বান সরকারের ভোট পরিচালনার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়াকে শান্তিপূর্ণ এবং উৎসবমুখর রাখার লক্ষ্যকে কেন্দ্র করে।