1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

আশুলিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় রাজসাক্ষীর জেরা আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
আশুলিয়ায় গত বছরের ৫ আগস্ট ছয়জনকে গুলি করে হত্যা ও মরদেহ পোড়ানোর অভিযোগে দায়ের করা মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী এসআই শেখ আবজালুল হকের জেরা আজ ট্রাইব্যুনালে অনুষ্ঠিত হবে। মামলার আসামিদের পক্ষে ডিফেন্স আইনজীবী এবং রাষ্ট্রীয়ভাবে নিয়োজিত স্টেট ডিফেন্স আইনজীবীরা তাকে জেরা করবেন। বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বেলা ১১টার পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-২-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি নজরুল ইসলাম চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের প্যানেলে এ জেরা শুরুর কথা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মঞ্জুরুল বাছিদ এবং জেলা ও দায়রা জজ নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর। আজকের জেরা শেষে আরও দু-তিনজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ হতে পারে বলে ট্রাইব্যুনালের কার্যতালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণের এ ধাপ সম্পন্ন হলে মামলাটি যুক্তিতর্কে অগ্রসর হবে। প্রসিকিউশন জানিয়েছে, আগামী মাসের মাঝামাঝির মধ্যে সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শেষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

গতকাল বুধবার আবজালুল হক ২৩ নম্বর সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দেন। তিনি নিজেকে রাজসাক্ষী হিসেবে আদালতের সামনে উপস্থাপন করেন এবং মামলার বিষয়ে নিজের জানা তথ্য আদালতে তুলে ধরেন বলে প্রসিকিউশন পক্ষ জানিয়েছে। প্রায় পঞ্চাশ মিনিটের জবানবন্দিতে তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আশুলিয়া থানার সামনে মরদেহ পোড়ানোর ঘটনাটি তিনি প্রত্যক্ষ করেননি। ঘটনাস্থলের বিবরণ তিনি অন্যদের কাছে শোনেন ১৫ আগস্ট, যখন থানায় অস্ত্র-গুলি জমা দিতে যান। তার বক্তব্যে উল্লেখ করেন, ওইদিন মরদেহ পোড়ানোর ঘটনায় থানার কর্মকর্তাদের সম্পৃক্ততার কথা তিনি সহকর্মীদের কাছ থেকে শুনেছেন।

জবানবন্দি শেষে তিনি আদালতের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। এর আগে চলতি বছরের ২১ আগস্ট ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলার ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেয়। ওই সময় হাজির হওয়া আট আসামির মধ্যে সাতজন নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। তবে এসআই শেখ আবজালুল হক দোষ স্বীকার করেন এবং আদালতে রাজসাক্ষী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। তার দোষ স্বীকারোক্তি তখন রেকর্ড করা হয় এবং পরবর্তীতে তিনি লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে রাজসাক্ষীর মর্যাদা পান।

মামলাটিতে সাক্ষ্যগ্রহণ ধাপে ধাপে চলছে। গত ৫ নভেম্বর ২২ নম্বর সাক্ষী হিসেবে প্রত্যক্ষদর্শী শাহরিয়ার হোসেন সজিব সাক্ষ্য দেন। তিনি জানান, ৫ আগস্টের ঘটনায় একজন গুলিবিদ্ধ হয়ে তার সামনেই মারা যান এবং তার বন্ধু সাজ্জাদ হোসেন সজল আগুনে পুড়ে মারা যান। ৩০ অক্টোবর গুলিবিদ্ধ ভুক্তভোগী সানি মৃধা ২১ নম্বর সাক্ষী হিসেবে তার জবানবন্দি দেন। তিনি ওইদিন পুলিশের গুলিতে আহত হওয়ার বিবরণ এবং ঘটনার সামগ্রিক পরিস্থিতি আদালতে তুলে ধরেন। তার আগের দিন, ২৯ অক্টোবর, আশুলিয়া থানার এসআই মো. আশরাফুল হাসান জব্দতালিকার সাক্ষ্য প্রদান করেন। তিনি জানান, চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল ওসির নির্দেশে রাইফেলের ছয় রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে থানায় জমা দেন।

মামলার প্রথম ধাপের সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয় গত ১৫ সেপ্টেম্বর। ওইদিন শহীদ সাবুরের ভাই রেজওয়ানুল ইসলাম এবং শহীদ সাজ্জাদ হোসেন সজলের বাবা মো. খলিলুর রহমান সাক্ষ্য দেন। এর আগে প্রসিকিউশন সূচনা বক্তব্যে মামলার পটভূমি তুলে ধরে অভিযোগের সারসংক্ষেপ আদালতে উপস্থাপন করে।

গত ২ জুলাই মামলার আনুষ্ঠানিক অভিযোগ ট্রাইব্যুনালে জমা দেয় প্রসিকিউশন। অভিযোগের সঙ্গে ৩১৩ পৃষ্ঠার তথ্যাবলি, ৬২ জন সাক্ষীর তালিকা, ১৬৮ পৃষ্ঠার দালিলিক প্রমাণ এবং দুটি পেনড্রাইভ যুক্ত করা হয়। পরে ট্রাইব্যুনাল ১৬ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেয়।

এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আটজন হলেন ঢাকা জেলা পুলিশের তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আব্দুল্লাহিল কাফী, সাবেক অতিরিক্ত সুপার (সাভার সার্কেল) মো. শাহিদুল ইসলাম, পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, এসআই মালেক, এসআই আরাফাত উদ্দিন, এএসআই কামরুল হাসান, আবজাল এবং কনস্টেবল মুকুল। বাকি আট আসামি, যাদের মধ্যে সাবেক এমপি সাইফুল ইসলামও আছেন, তারা এখনও পলাতক।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণের মৃত্যু ও পরবর্তী সময়ে মরদেহ পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। তদন্ত ও প্রমাণ উপস্থাপনের পর মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে, এবং ট্রাইব্যুনালের পরবর্তী কার্যক্রমে মামলার অগ্রগতি নির্ধারিত হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com