মালয়েশিয়া প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ায় যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশের ৫৪তম সশস্ত্র বাহিনী দিবস উদযাপিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানী কুয়ালালামপুরের বুকিত কিয়ারা রিসোর্টের দেওয়ান বিরজায়া হলে, বাংলাদেশ হাইকমিশন দিবসটি উপলক্ষে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ার নৌবাহিনীর উপপ্রধান ভাইস অ্যাডমিরাল দাতো পাহলোয়ান টিএস শামসুদ্দীন বিন হাজি লুদিন এবং তার সহধর্মিণী দাতিন নূর বালখিসাম বিনতি আবু বাকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান শুরু হয় বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন এবং সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন দিয়ে। প্রামাণ্যচিত্রে বাংলাদেশের সশস্ত্র বাহিনীর ঐতিহাসিক ভূমিকা, স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং বর্তমান শান্তিরক্ষা কার্যক্রমের গুরুত্ব তুলে ধরা হয়।
মালয়েশিয়া হাইকমিশনের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা কমোডর মো. হাসান তারিক মন্ডল তার শুভেচ্ছা বক্তব্যে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের তাৎপর্য ব্যাখ্যা করেন এবং দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সুসম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, বাংলাদেশ এবং মালয়েশিয়ার মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বিভিন্ন পর্যায়ে দৃঢ় ও স্থায়ী।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মনজুরুল করিম খান চৌধুরী সশস্ত্র বাহিনীর গুরুত্ব ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। হাইকমিশনার বলেন, পেশাগত দক্ষতার কারণে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী আন্তর্জাতিক মঞ্চে সমাদৃত। জাতিসংঘ শান্তি মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী নিয়োগের মাধ্যমে দেশটি বিশ্ব দরবারে সমুজ্জ্বল হয়ে উঠেছে। তিনি এ অর্জনের মাধ্যমে দেশের জাতীয় মর্যাদা ও আন্তর্জাতিক অবস্থানকে দৃঢ় করার ওপর গুরুত্ব দেন।
বক্তব্য শেষে হাইকমিশনার এবং অনুষ্ঠানের অতিথিরা কেক কেটে দিবসটি উদযাপন করেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মালয়েশিয়ায় নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা, মালয়েশিয়া সশস্ত্র বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তা, স্থানীয় বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
সংবর্ধনা শেষে অতিথিরা নৈশভোজে অংশগ্রহণ করেন, যা অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। অনুষ্ঠানটি দুই দেশের মধ্যে সামরিক ও কূটনৈতিক সম্পর্কের দৃঢ়তার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।