নিজস্ব প্রতিনিধি
মালয়েশিয়ার পেরাক দ্বীপের উত্তর-পূর্ব জলসীমায় বুধবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে একটি নৌকা প্রায় ডুবে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে ১৯ জন আরোহীর মধ্যে ১৮ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এই দুর্ঘটনায় ৭০ বছর বয়সী একজন স্থানীয় নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন বলে মালয়েশিয়ার কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) নিশ্চিত করেছে।
রয়্যাল মালয়েশিয়ান নেভির যুদ্ধজাহাজ কেডি লেদাং দুর্ঘটনাস্থল থেকে লাইফ জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় সমস্ত আরোহীকে উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃতদের বয়স ১৫ থেকে ৫৩ বছরের মধ্যে। এদের মধ্যে ১৫ জন মালয়েশীয় (পুরুষ ১৪, নারী ১), ৩ জন মিয়ানমারের নাগরিক এবং একজন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছে। প্রাথমিক ধারণা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় আরোহীরা পেরাক দ্বীপের জলসীমায় ‘তুকুন’ বা কৃত্রিম প্রবাল প্রাচীর রক্ষণাবেক্ষণের কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
কেদাহ ও পারলিস রাজ্য মেরিটাইমের পরিচালক ফার্স্ট অ্যাডমিরাল মেরিটাইম রোমলি মুস্তাফা জানান, জীবিতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ পরবর্তী প্রক্রিয়ার জন্য জাহাজে নিয়ে আসা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে কেডি লেদাং টিএলডিএম মাভিলা ৩ জেটিতে পৌঁছায়। উদ্ধারকৃতদের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে এবং নিহত ব্যক্তির মরদেহ রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বাস্থ্য পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর, জীবিতদের পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মালয়েশিয়ার মেরিটাইম এনফোর্সমেন্ট এজেন্সি এবং নৌ বিভাগের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
অ্যাডমিরাল মুস্তাফা জানিয়েছেন, দ্রুত পদক্ষেপ এবং বিভিন্ন সংস্থার কার্যকর সমন্বয়ের কারণে উদ্ধার অভিযান সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।此次 ঘটনা পেরাক দ্বীপের জলসীমায় নৌপরিবহন নিরাপত্তার ওপর গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজনীয়তাও তুলে ধরেছে। বিশেষজ্ঞরা উল্লেখ করেছেন যে, নিরাপত্তা প্রটোকল এবং নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ কার্যক্রমের মান বৃদ্ধি করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধ সম্ভব হবে।
উদ্ধারকৃতদের মধ্যে যারা মালয়েশীয় নয়, তাদের সংশ্লিষ্ট দেশীয় কনস্যুলেটের মাধ্যমে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে এবং প্রয়োজনে চিকিৎসা ও সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনার পরবর্তী তদন্তে নৌকাডুবির সঠিক কারণ নির্ণয় করা হবে এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রণয়ন করা হবে।