1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৪৪ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

প্লট জালিয়াতি মামলার রায় আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১১ বার দেখা হয়েছে

আইন আদালত  ডেস্ক

পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট বরাদ্দে জালিয়াতি ও প্রভাব খাটানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলার রায় আজ ঘোষণা করা হবে। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক রবিউল আলম রবিবার এ রায় ঘোষণা করবেন। মামলার অভিযোগপত্রে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, প্রাক্তন রাষ্ট্রনেতা, প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা ও বিভিন্ন দপ্তরের একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে। মোট ১৭ জন এ মামলার আসামির তালিকায় রয়েছেন।

মামলার অভিযোগ অনুযায়ী, পরিবারের কয়েকজন সদস্যের নামে প্লট বরাদ্দ নিশ্চিত করতে প্রভাব খাটানোর অভিযোগ রয়েছে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের বিরুদ্ধে, যিনি যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির তৎকালীন মন্ত্রী ছিলেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, প্লট বরাদ্দের প্রক্রিয়া চলমান থাকার তথ্য জানার পর টিউলিপ তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং বরাদ্দ নিশ্চিত করতে চাপ প্রয়োগ করেন। অভিযোগপত্রে আরও উল্লেখ করা হয়, পরিবারের সদস্যদের নামে প্লট বরাদ্দের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তারের বিষয়ে তদন্তকালে সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপিত হয়েছে।

অভিযোগে বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের ছয়জন সদস্য জালিয়াতির মাধ্যমে প্লট গ্রহণ করেছেন বলে তদন্তে উঠে আসে। যদিও টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক নিজে কোনো প্লট নেননি, তবে বরাদ্দ প্রক্রিয়ায় তার প্রত্যক্ষ প্রভাব ছিল বলে মামলার তদন্তে উঠে এসেছে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ রয়েছে। তদন্তের ভিত্তিতে প্রসিকিউশন সব আসামির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেছে।

মামলার অন্যান্য আসামির মধ্যে রয়েছেন—গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএ মো. আনিছুর রহমান মিঞা, রাজউকের সাবেক সদস্য মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (ইঞ্জিনিয়ার) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (অব.), রাজউকের সাবেক পরিচালক মো. নুরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন এবং সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। এদের মধ্যে মোহাম্মদ খুরশীদ আলম কারাগারে আছেন, অন্য আসামিরা পলাতক।

শেখ রেহানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, ঢাকায় সম্পত্তি থাকা সত্ত্বেও তা গোপন রেখে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট গ্রহণের আবেদন করা হয় এবং পরবর্তী সময়ে তা বরাদ্দও পাওয়া যায়। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের প্রভাব ও সহযোগিতার ফলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার অপব্যবহার করে এই প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ ছাড়া নথি গায়েবের অভিযোগও তদন্তে উঠে এসেছে, যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

মামলাটি দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন ১৩ জানুয়ারি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে ১০ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিচার প্রক্রিয়ায় মোট ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দিয়েছেন। সাক্ষ্যগ্রহণ, জেরা এবং নথিপত্র পর্যালোচনার পর আদালত আজ রায় ঘোষণা করবে। মামলার সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন থেকে যোগাযোগ, প্রভাব খাটানো এবং বরাদ্দ প্রক্রিয়ার নানা অনিয়ম সম্পর্কে আদালতের সামনে তথ্য তুলে ধরা হয়।

এ মামলার প্রেক্ষাপটে সাম্প্রতিক সময়ে উচ্চপ্রোফাইল অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার ধারাবাহিকতাও গুরুত্বপূর্ণ। মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর ২৭ নভেম্বর পৃথক তিনটি প্লট জালিয়াতি মামলায় শেখ হাসিনাকে ২১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। একই দিনে তাঁর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলকে পৃথক দুই মামলায় পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। উভয়েই বর্তমানে পলাতক।

আজকের রায় মামলার অন্যান্য আসামি ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বরাদ্দ সংক্রান্ত মামলাগুলোর বিচারপ্রক্রিয়ার ওপরও প্রভাব ফেলতে পারে বলে আইনজীবী মহলে ধারণা করা হচ্ছে। বরাদ্দ-সংক্রান্ত নথি, সুপারিশ প্রক্রিয়া, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর অভ্যন্তরীণ তদারকি বিষয়ে ভবিষ্যতে আরও অনুসন্ধান ও আইনি পদক্ষেপের সম্ভাবনার কথাও আলোচনায় এসেছে। আদালতের আজকের রায় এসব বিষয়ে পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আইন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com