1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:৪৬ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
হাইকোর্টে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার রিট উত্থাপিত হয়নি, আবেদন খারিজ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে নরসিংদীতে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আগমন স্থগিত তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা; পালিয়ে গেছে পরিচয় দেওয়া গৃহকর্মী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি জোরদার বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা শাপলা চত্বরের ঘটনাবলি নিয়ে প্রেস সচিবের বিবরণে নতুন দাবি চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ অর্থ আদায় নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার মন্তব্য

চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ অর্থ আদায় নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার মন্তব্য

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন পর্যায়ে অবৈধ অর্থ আদায় বা চাঁদাবাজি প্রচলিত রয়েছে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন। তিনি দাবি করেন, প্রতিদিন বন্দরে দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত অবৈধভাবে লেনদেন হয়। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন।

সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রণালয়ের গত এক বছরের সাফল্য, অগ্রগতি এবং চলমান কার্যক্রম তুলে ধরা হয়। এ সময় সাংবাদিকরা চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষ ও একটি বিদেশি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে চুক্তি-সংক্রান্ত প্রক্রিয়া নিয়ে হাইকোর্টের সাম্প্রতিক রায়ের প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, রায় সম্পর্কিত আলোচনা এখনো চলমান। তিনি জানান, রায়ের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্টরা নতুন বেঞ্চে যাওয়া বা প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করার সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

উপদেষ্টা আরও বলেন, বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে বন্দর অবকাঠামোয় বড় বিনিয়োগের প্রবণতা রয়েছে এবং বাংলাদেশের প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে চট্টগ্রাম বন্দরেও উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ হয়েছে। তিনি জানান, পণ্য ওঠানামার পরিমাণ বৃদ্ধি, লজিস্টিক উন্নয়ন এবং সামগ্রিক বাণিজ্য পরিবেশ উন্নত করতে এসব বিনিয়োগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একই সঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, বন্দর পরিচালনার দক্ষতা বৃদ্ধিতে সরকারি উদ্যোগের ধারাবাহিকতা বজায় রাখাও প্রয়োজন।

পানগাঁও অভ্যন্তরীণ কনটেইনার টার্মিনালের আর্থিক অবস্থার প্রসঙ্গে ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে লোকসান গুনতে হচ্ছে, যা বছরে প্রায় ২২ কোটি টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছে। তার মতে, সাম্প্রতিক সময়ে নেওয়া কিছু পদক্ষেপের ফলে বন্দরের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর আর্থিক ব্যবস্থাপনায় ইতিবাচক পরিবর্তন লক্ষ্য করা যেতে পারে।

চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ অর্থ আদায় নিয়ে তিনি বলেন, বন্দরের ভেতরে বিভিন্ন স্থানে যানবাহন আটকে রাখা বা অপ্রয়োজনীয়ভাবে অপেক্ষা করানোর মতো পরিস্থিতিতে চাঁদা দাবি করা হয়ে থাকে। তিনি জানান, এসব কার্যক্রম রোধে বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং ভেতরের বেশ কিছু জায়গা থেকে অবৈধ আদায়ের উপস্থিতি কমানো সম্ভব হয়েছে। তবে বন্দরের বাইরে এখনো কিছু অনিয়ম বিদ্যমান থাকতে পারে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

তিনি আরও জানান, বন্দরের সামগ্রিক কার্যক্রম স্বচ্ছ ও শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো সমন্বিতভাবে কাজ করছে। ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানির শিকার না হন এবং পণ্য পরিবহনের সময় বিলম্ব না ঘটে, সেজন্য বিভিন্ন নীতিগত ও প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব উদ্যোগের ফলে আগে যেখানে পণ্য খালাসে দিনের পর দিন সময় লাগত, এখন তা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে এসেছে বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।

চট্টগ্রাম বন্দর থেকে প্রতিদিন কত পরিমাণ অবৈধ অর্থ লেনদেন হয়—এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আনুমানিক দুই থেকে আড়াই কোটি টাকা পর্যন্ত এ ধরনের অর্থ আদায় হতে পারে। তবে সঠিক পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে বলেও তিনি ইঙ্গিত দেন। তিনি জানান, এসব অনিয়ম বন্ধে সম্প্রসারিত নজরদারি ও কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যার ফলে অবৈধ লেনদেনের পরিমাণ আগের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে।

তবে সম্পূর্ণভাবে অনিয়ম দূর করার বিষয়ে তিনি বলেন, এ ধরনের কার্যক্রম সম্পূর্ণ নির্মূল করা সবক্ষেত্রে সহজ নয়। তারপরও সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো অবৈধ অর্থ আদায় বন্ধে সুচিন্তিত পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যা ভবিষ্যতে বন্দরের কার্যক্রমকে আরও স্বচ্ছ ও দক্ষ করে তুলতে সহায়তা করবে।

চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনা-সংক্রান্ত রিটের বিষয়ে গত ৪ ডিসেম্বর দেওয়া হাইকোর্টের বিভক্ত রায়ের কথাও সংবাদ সম্মেলনে আলোচিত হয়। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি ফাতেমা আনোয়ার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে একজন বিচারপতি চুক্তিপ্রক্রিয়া অবৈধ ঘোষণা করেন, অন্য বিচারপতি ভিন্নমত পোষণ করে রিট খারিজ করে দেন। ফলে বিষয়টি এখন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ বা বৃহত্তর বিচারিক প্রক্রিয়ার দিকে অগ্রসর হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট মহলের ধারণা।

চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম দেশের আমদানি–রপ্তানি প্রবাহের প্রধান কেন্দ্র হওয়ায় সেখানে অনিয়ম, আর্থিক ক্ষতি বা প্রক্রিয়াগত জটিলতা বাণিজ্য পরিবেশে প্রভাব ফেলার আশঙ্কা থাকে। তাই সাম্প্রতিক রায়, সরকারের পদক্ষেপ এবং ব্যবস্থাপনার পরিবর্তন ভবিষ্যতে বন্দরের কার্যকারিতা ও আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা সক্ষমতার ওপর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com