1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
হাইকোর্টে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার রিট উত্থাপিত হয়নি, আবেদন খারিজ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে নরসিংদীতে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আগমন স্থগিত তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা; পালিয়ে গেছে পরিচয় দেওয়া গৃহকর্মী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি জোরদার বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা শাপলা চত্বরের ঘটনাবলি নিয়ে প্রেস সচিবের বিবরণে নতুন দাবি চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ অর্থ আদায় নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার মন্তব্য

তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

আগামী বুধবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার লক্ষ্যে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) জাতির উদ্দেশে ভাষণ রেকর্ডের সময় নির্ধারণ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাষণ রেকর্ডের জন্য রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রাষ্ট্রীয় বেতারকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি পাঠানো হয়েছে, যা ইসির তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সোমবার নিশ্চিত করে জানান, বুধবার সিইসির ভাষণ রেকর্ডের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে অনুরোধ পাঠানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের মতে, ভাষণ রেকর্ডের এই নির্দেশ সাধারণত তফসিল ঘোষণার আগেই সম্পন্ন করা হয়, যাতে নির্ধারিত দিনে তা সম্প্রচার করা যায়।

ইসি সূত্র জানায়, নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা দেশের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। এই ঘোষণার আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ সাধারণত ভোটারদের উদ্দেশে নির্বাচন আয়োজনে কমিশনের প্রস্তুতি, নির্বাচনকালীন আচরণবিধি, সাংবিধানিক দায়িত্ব এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে কমিশনের অঙ্গীকার তুলে ধরে। ভাষণটি সম্প্রচারের পরপরই তফসিল সম্পর্কিত বিস্তারিত সময়সূচি জানানো হয়—যেমন মনোনয়নপত্র জমাদান, যাচাই–বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় এবং ভোটগ্রহণের তারিখ।

এর আগে নির্বাচকমণ্ডলী, রাজনৈতিক দল ও গণপ্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের সঙ্গে ধারাবাহিক আলোচনা শেষে নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে জানান হয় যে ডিসেম্বরের ৮ থেকে ১৫ তারিখের যেকোনো সময়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হবে। রবিবার নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেন, সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তফসিল ঘোষণা করা হবে এবং সে অনুযায়ী কমিশন প্রস্তুত রয়েছে।

বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে তফসিল ঘোষণা একটি কেন্দ্রীয় ধাপ হিসেবে বিবেচিত। সংবিধান অনুযায়ী জাতীয় সংসদের মেয়াদপূর্তির ৯০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনীয় সকল কার্যক্রম সম্পন্ন করে নির্বাচন আয়োজন করা বাধ্যতামূলক। তাই নির্বাচন কমিশনকে নির্দিষ্ট সময়সীমা মেনে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু করতে হয়। তফসিল ঘোষণার মাধ্যমেই আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং এরপর থেকেই রাজনৈতিক দলসমূহ নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি, জোট–সমন্বয়, প্রার্থী চূড়ান্তকরণসহ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রমে গতি আনে।

অতীতের অভ্যাস অনুযায়ী, তফসিল ঘোষণার দিন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যমে জাতির উদ্দেশে সিইসির ভাষণ প্রচার করা হয়। এই ভাষণের মাধ্যমে কমিশন সাধারণত ভোটারদের অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে, নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানায় এবং শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সব অংশীজনের প্রতি দিকনির্দেশনা প্রদান করে। একই সঙ্গে সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের প্রতি কমিশনের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়।

এদিকে প্রশাসনিক দিক থেকে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতিও জোরদার হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে মাঠ প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন উপকরণ মুদ্রণ, বিতরণ, ভোটকেন্দ্র নির্ধারণ, আইনশৃঙ্খলা–সংক্রান্ত পরিকল্পনা প্রণয়নসহ বিভিন্ন দপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ভাষণ রেকর্ডের চিঠি পাঠানোকে কমিশনের চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।

তফসিল ঘোষণার পর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমাদানের সময়সীমা নির্ধারণ করা হবে, যা সাধারণত ঘোষণার পরপরই শুরু হয়। এরপর সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা মনোনয়নপত্র যাচাই–বাছাই করবেন। যাচাই শেষে প্রার্থীরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সুযোগ পাবেন। এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে, যা ভোটগ্রহণের দিন পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

আসন্ন নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যক্রমও ত্বরান্বিত হয়েছে। তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই দলগুলো আনুষ্ঠানিক প্রচারণা শুরু করতে পারবে। নির্বাচন পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে কমিশনের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলোও পরিকল্পনা গ্রহণ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিতকরণ এবং অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

সব মিলিয়ে, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ডের উদ্যোগ এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সমন্বয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সংবিধানসম্মত সময়সীমা মেনে নির্বাচনী কার্যক্রম সম্পন্ন করতে কমিশন প্রয়োজনীয় সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com