1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৪:২৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ সামনে রেখে ভোটার সচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ি’ কর্মসূচি শুরু ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট ২০২৬ সামনে রেখে ভোটার সচেতনতায় ‘ভোটের গাড়ি’ কর্মসূচি শুরু বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ডিগ্রির পাশাপাশি সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির ওপর গুরুত্বারোপ ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে লা লিগায় শীর্ষস্থান আরও সংহত করল বার্সেলোনা গ্রিসের গাভদোস উপকূলে ৫৩৯ অভিবাসী উদ্ধার, ৪৩৭ জন বাংলাদেশি শহীদ শরিফ ওসমান হাদির স্মরণে যমজ সন্তানের নামকরণ যশোরে ব্যবসায়ী অপহরণ ও চাঁদা আদায়ের অভিযোগে বিএনপি নেতা জনিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল খুলনায় এনসিপি নেতা মোতালেব শিকদার গুলিবিদ্ধ নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের সামনে বিক্ষোভ ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে ঢাকা-নয়াদিল্লির বিবাদ বেড়েছে ঐক্যবদ্ধ থেকে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান তারেক রহমানের

বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে ডিগ্রির পাশাপাশি সক্ষমতা ও প্রাতিষ্ঠানিক শক্তির ওপর গুরুত্বারোপ

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ১ বার দেখা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
বিশ্ব প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কেবল একাডেমিক ডিগ্রি অর্জন যথেষ্ট নয়; এর পাশাপাশি সক্ষমতা, শৃঙ্খলা ও বিশ্বাসযোগ্যতা গড়ে তোলার প্রয়োজন রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, ব্যক্তিগত অর্জনের পাশাপাশি টেকসই ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলাই একটি দেশের দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়নের প্রধান শর্ত।

রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহরে অবস্থিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সপ্তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এবারের সমাবর্তন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির স্মরণে উৎসর্গ করা হয়।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, দক্ষতাকে সাময়িক লক্ষ্য হিসেবে না দেখে দৈনন্দিন অভ্যাসে রূপ দিতে হবে। একইভাবে সততাকে কেবল নীতিগত অবস্থানে সীমাবদ্ধ না রেখে ব্যক্তিগত পরিচয়ের অংশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। তিনি আরও বলেন, দেশপ্রেম আবেগের বিষয় নয়; এটি দায়িত্বশীল আচরণ ও কর্মের মধ্য দিয়ে প্রকাশ পায়। শিক্ষাজীবন শেষে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশের পর এসব গুণ বাস্তবে প্রয়োগ করাই নতুন প্রজন্মের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

দেশের প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি উল্লেখ করেন, স্বাধীনতার পাঁচ দশকের বেশি সময় পার হলেও ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন সাফল্য অর্জিত হলেও রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান গঠনে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি হয়নি। পুলিশ, বিচার বিভাগ ও প্রশাসনের মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এক সময় উন্নয়নমুখী অবস্থায় থাকলেও গত দেড় দশকে এসব প্রতিষ্ঠানের কাঠামো ও কার্যকারিতা দুর্বল হয়ে পড়েছে। এর ফলে সুশাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কাঙ্ক্ষিত ফল পাওয়া কঠিন হয়ে উঠেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের বিভিন্ন দেশ শক্তিশালী ও কার্যকর প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছিল। যেসব রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠানকে অগ্রাধিকার দিয়েছে, তারাই দীর্ঘমেয়াদে উন্নয়ন নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছে। বিপরীতে, ব্যক্তি বা পরিবারকেন্দ্রিক ব্যবস্থার কারণে অনেক ক্ষেত্রে অর্জন টেকসই হয়নি। এই বাস্তবতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশকেও প্রাতিষ্ঠানিক উন্নয়নের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তব্যের একাংশে তিনি শরিফ ওসমান বিন হাদির কর্মজীবন ও সামাজিক ভূমিকার কথা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ন্যায়বিচার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাঁর কার্যক্রম অনেকের কাছে দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। সমাবর্তনটি তাঁর স্মরণে উৎসর্গ করার মাধ্যমে সামাজিক দায়বদ্ধতা ও নৈতিকতার বিষয়টি নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফায়েজ। তিনি বলেন, বর্তমান সময়ের গ্র্যাজুয়েটরা এমন এক বাস্তবতার মুখোমুখি, যেখানে জ্ঞান অর্জন শুধু পাঠ্যবইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। প্রযুক্তির দ্রুত বিকাশের ফলে শিক্ষার পরিসর যেমন বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি নতুন নতুন চ্যালেঞ্জও তৈরি হয়েছে। এসব চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করতে হলে সৃজনশীলতা, প্রযুক্তিগত দক্ষতা ও মানবিক মূল্যবোধের সমন্বয় প্রয়োজন।

তিনি আরও বলেন, নতুন বাংলাদেশ গঠনে তরুণদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানবিকতা, দায়িত্ববোধ ও সামাজিক সচেতনতা নিয়ে এগিয়ে এলে তরুণ প্রজন্ম দেশ গঠনে কার্যকর অবদান রাখতে পারবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতার হোসেন খান। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম, গবেষণা উদ্যোগ ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ধারণা তুলে ধরেন। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, ভাইস-প্রেসিডেন্ট ডা. মো. মাহবুবুর রহমান, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. নওজিয়া ইয়াসমীনসহ বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা।

এবারের সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের মোট ৬৭২ জন শিক্ষার্থীকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থী চ্যান্সেলরস গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থী ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থী ডিনস অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।

২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। এ পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ছয়টি সমাবর্তনে ১৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। সর্বশেষ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২২ সালে। এবারের সমাবর্তনে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অ্যালামনাই, সিন্ডিকেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com