জাতীয় ডেস্ক
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁও মেইল প্রসেসিং সেন্টারে আসন্ন নির্বাচনে প্রবাসী ভোটিং কার্যক্রম পরিদর্শন করার পর সিইসি এ মন্তব্য করেন। তিনি জানান, নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তত উন্নত হবে এবং প্রার্থী ও ভোটারদের মধ্যে ভয় কমবে।
সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে ভোট উৎসব কোনোভাবে ব্যাহত হয়নি। নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন, রাজনৈতিক দল এবং ভোটাররা সমন্বিতভাবে কাজ করছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বড় পরিসরে পোস্টাল ভোটিং পদ্ধতি প্রয়োগের কারণে নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে, তবে কমিশন কার্যক্রম নিয়ে সন্তুষ্ট।
তিনি ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, “আবার তিনদিন হাতে আছে। দেশের ভিতরের ভোটাররাও যারা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দেবেন, তারা এ সময়ে নিবন্ধন সম্পন্ন করবেন। সবাই ভোটের আওতায় আসুন। আগামী তিন দিনের মধ্যে নিবন্ধনের হার উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। আশা করি আমাদের এই হাইব্রিড সমাধান সারাবিশ্বে মডেল হিসেবে বিবেচিত হবে।”
সিইসি আরও উল্লেখ করেন, সার্বিক ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়াটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আগামী ২৫ ডিসেম্বরের মধ্যে নিবন্ধনের হার ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এদিকে, কমিশন সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পোস্টাল ভোটিং কার্যক্রমের প্রতিটি ধাপ মনিটরিং করা হচ্ছে। প্রার্থীদের তথ্যাদি যাচাই, ভোটার নিবন্ধন এবং ব্যালট প্রেরণের প্রক্রিয়া নিয়মিতভাবে তদারকি করা হচ্ছে, যাতে ভোটের স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, প্রথমবারের মতো হাইব্রিড ভোটিং ব্যবস্থার বাস্তবায়ন দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ অভিজ্ঞতা যোগ করবে। নির্বাচন কমিশনও জানিয়েছে, প্রবাসী ভোটারদের সঠিক তথ্য পৌঁছে দিতে এবং ভোট প্রদান প্রক্রিয়া সহজ করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
নির্বাচন কমিশন আশা করছে, ভোটারদের মধ্যে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকলে এবং নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকলে নির্বাচন দিন দেশের ভোট প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হবে। পোস্টাল ভোটিংয়ের সঙ্গে সাধারণ ভোটিং মিলিয়ে হাইব্রিড সিস্টেম কার্যকরভাবে প্রয়োগ হলে তা ভবিষ্যতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ার জন্য উদাহরণ হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।