নিজস্ব প্রতিবেদক
জাতীয় সংসদ ও রাজনৈতিক মহলে আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রয়াত নেতাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন। শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের জানান, নির্বাচনের শঙ্কা অনেকাংশেই কাটিয়ে গেছে, তবে দেশের রাজনৈতিক জটিলতায় ষড়যন্ত্র এখনও বিদ্যমান।
বিএনপি চেয়ারপারসন তারেক রহমানের নির্দেশে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের পূর্বে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মির্জা ফখরুল বলেন, তারেক রহমান শুধুমাত্র শহীদ হাদির কবর জিয়ারত করেননি, তিনি পাশাপাশি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরেও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এই উদ্যোগকে তিনি রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচায়ক হিসেবে অভিহিত করেন।
মহাসচিব আরও জানান, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যে তারেক রহমানের আগমন রাজনৈতিক সমীকরণকে সরল করেছে। তার প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী দর্শন নতুনভাবে সামনে এসেছে, যা জনগণের মুক্তি এবং দেশের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি বলেন, দলের জনপ্রিয়তা তারেক রহমানের আগমনের পর উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে এবং দেশের জন্য নতুন পরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে রাজনীতিতে নতুন দিক উন্মোচিত হবে।
মির্জা ফখরুল আশা প্রকাশ করে বলেন, আগামী নির্বাচনের সময় তারেক রহমান সর্বাধিক রাজনৈতিক সফলতা অর্জন করবেন। তিনি মন্তব্য করেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির কবর জিয়ারতের সঙ্গে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবর জিয়ারত নিঃসন্দেহে তারেক রহমানের রাজনৈতিক প্রজ্ঞার পরিচায়ক।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের কবর জিয়ারত এবং শ্রদ্ধা নিবেদন দলের ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সামনে তুলে ধরে নতুন প্রজন্মের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা এবং জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি করতে সহায়ক। বিএনপির এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে একটি নতুন দিক নির্দেশ করতে পারে।
এদিকে, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, জনগণের অংশগ্রহণ এবং জাতীয়তাবাদী দর্শনের পুনরুজ্জীবনের লক্ষ্যে এই ধরনের উদ্যোগ আরও বাড়ানো হবে।