অর্থনীতি ডেস্ক
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের ১৭ কমিশনারের পদে রদবদল করেছে। এনবিআর থেকে ইস্যু করা আনুষ্ঠানিক আদেশে কমিশনারদের বিভিন্ন জায়গায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
নতুন আদেশ অনুযায়ী, কমিশনাররা ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, খুলনা, রংপুর ও যশোরসহ দেশের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অফিস এবং কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট আপিলিয়েট ট্রাইব্যুনালে নতুন পদে বহাল হবেন। এই পদান্তর বিভিন্ন প্রশাসনিক ও কর্মকৌশলগত কারণে নেওয়া হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
রদবদলের মাধ্যমে এনবিআর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন অঞ্চলে অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি, দক্ষতা অনুযায়ী কাজের সমন্বয় এবং সার্বিক প্রশাসনিক কার্যকারিতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে। আদেশে প্রত্যেক কমিশনারের নতুন দায়িত্ব, স্থানান্তরের তারিখ এবং কার্যকাল সংক্রান্ত বিস্তারিত নির্দেশনা উল্লেখ করা হয়েছে।
কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারদের রদবদল প্রায়শই বোর্ডের অভ্যন্তরীণ নীতি এবং কর্মকর্তাদের কর্মক্ষমতা, অভিজ্ঞতা ও প্রশাসনিক প্রয়োজনীয়তার উপর ভিত্তি করে করা হয়। বিশেষত, বিভিন্ন বন্দরের কার্যক্রম, রাজস্ব সংগ্রহ এবং করদাতাদের সেবা উন্নয়নে কমিশনারদের কার্যকর উপস্থিতি নিশ্চিত করাই এই পদান্তরের মূল লক্ষ্য।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, “এই ধরনের রদবদল কেবল কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বৃদ্ধি করবে না, বরং দেশের রাজস্ব নীতি কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।” তিনি আরও বলেন, “ঢাকা, চট্টগ্রাম, বেনাপোল, খুলনা, রংপুর এবং যশোরের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঞ্চলে সঠিক নেতৃত্ব নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
বাংলাদেশে কাস্টমস ও ভ্যাট বিভাগের কমিশনাররা মূলত রাজস্ব সংগ্রহ, নীতি বাস্তবায়ন, করদাতা সেবা, এবং আইনগত তদারকির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। রদবদল প্রক্রিয়ায় বোর্ড কর্মকর্তাদের স্থানান্তর একটি নিয়মিত প্রশাসনিক ব্যবস্থা হিসেবে চালু রয়েছে, যা সরকারের নীতি ও দেশের অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এই রদবদলের ফলে সংশ্লিষ্ট অঞ্চলে কর্মরত অন্যান্য কর্মকর্তাদের কাজের ধরন ও সমন্বয়েও পরিবর্তন আসতে পারে। এনবিআর আশা করছে, নতুন পদে কমিশনারদের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা দেশের রাজস্ব সংগ্রহে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
এনবিআর কর্তৃপক্ষ আগামী কয়েক সপ্তাহে স্থানান্তরিত কমিশনারদের নতুন কার্যক্ষেত্রে দায়িত্বভার গ্রহণের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট অফিসগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। এই পদান্তর প্রশাসনিক স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে।