1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯:৩২ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
বেগম খালেদা জিয়াকে দেওয়া হলো এক ঐতিহাসিক বিদায় : সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ইরান কানাডার রয়্যাল নেভিকে সন্ত্রাসী ঘোষণা করলো মালি ও বুরকিনা ফাসো যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ওপর ভ্রমণ সীমাবদ্ধতা ঘোষণা বিপিএলের নতুন সূচি প্রকাশ, ঢাকার শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে হবে ফাইনাল মোহনলালের মা শান্তাকুমারী ইন্তেকাল করেছেন, দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রিতে শোকের ছায়া মৌসুমি আক্তার সালমার সাত বছরের দ্বিতীয় বিবাহবিচ্ছেদ নিশ্চিত বিজয় দেবেরাকোন্ডা ও রাশমিকা মান্দানার বাগদানের পর বিয়ের প্রস্তুতি শুরু ঢাকার পুঁজিবাজার ২০২৫ সালে দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় পিছিয়ে রাজধানীতে এলপিজি সংকট ও বাড়তি মূল্য: সরকারি রেট অনুপস্থিত, ভোক্তা অসহায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে ১৭ কাস্টমস ও ভ্যাট কমিশনারের পদে রদবদল

রাজধানীতে এলপিজি সংকট ও বাড়তি মূল্য: সরকারি রেট অনুপস্থিত, ভোক্তা অসহায়

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক

বাংলাদেশে এলপিজি সংকট গভীর আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) চলতি ডিসেম্বর মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম এক হাজার ২৫৩ টাকা নির্ধারণ করলেও রাজধানীর বাজারে এটি কার্যকরভাবে প্রতিফলিত হচ্ছে না। বরং ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় প্রতি সিলিন্ডারের বাজার মূল্য ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৮০০ টাকার মধ্যে পৌঁছেছে।

ঢাকার মোহাম্মদপুর ও বনশ্রীসহ বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিন পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, সরকারি নির্ধারিত মূল্যের তুলনায় বাজারে দাম প্রায় ৫০০-৬০০ টাকা বেশি। মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, তিনি এই মাসে এক সিলিন্ডারের জন্য ১ হাজার ৭০০ টাকা খরচ করেছেন, যেখানে সরকারি রেট ১,২৫৩ টাকা। বনশ্রী এলাকার বাসিন্দা মাহবুব আলমও এক হাজার ৮০০ টাকায় সিলিন্ডার কিনেছেন।

বাজারে এই উচ্চমূল্য এবং সরবরাহ সংকটের মূল কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা শীতকালের চাহিদা বৃদ্ধি এবং পর্যাপ্ত সরবরাহের অভাবকে দেখাচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতা বজলুর রহমান বলেন, ডিস্ট্রিবিউশন পর্যায় থেকে সিলিন্ডার সময়মতো পাওয়া যায় না, আর পাইকারি পর্যায়ে বেশি মূল্যে কেনার কারণে খুচরা বাজারে দাম বেড়ে যায়। ইউসুফ আলী, বনশ্রী এলাকার ‘আইডিয়াল এলপিজি’র স্বত্বাধিকারী, জানান, পরিবেশক থেকে ১২ কেজি সিলিন্ডার তারা ১,৫২০ টাকায় কিনছেন। পরিবহন খরচ ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এটি ১,৭০০ টাকার নিচে বিক্রি করা সম্ভব হচ্ছে না।

এলসি (লেটার অব ক্রেডিট) জটিলতাকেও বাজারে সংকটের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। ন্যাশনাল তোশিবা গ্যাস স্টোভের স্বত্বাধিকারী ইকবাল হোসেন বলেন, কোম্পানিগুলো এলসি জটিলতার কারণে লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী এলপিজি আমদানি করতে পারছে না। যার ফলে পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে দাম বাড়ছে।

দেশের এলপিজি চাহিদার প্রায় ৯৮ শতাংশ পূরণ করে বেসরকারি কোম্পানিগুলো। বর্তমানে ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৮টি সক্রিয়। বসুন্ধরা, যমুনা, বেক্সিমকো, মেঘনা (ফ্রেশ), ওমেরা ও বিএম এলপিজি উল্লেখযোগ্য। ফ্রেশ এলপি গ্যাসের এরিয়া সেলস ম্যানেজার মো. আফজাল জানান, এলসি জটিলতার কারণে আমদানি কমে যাওয়ায় বাজারে সংকট সৃষ্টি হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিইআরসি কর্মকর্তা ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাড়তি মূল্য ও সংকটের বিষয়ে অভিযোগ এসেছে। সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোর সঙ্গেও আলোচনা করা হয়েছে। যদিও এলসি খোলা, ট্রেডার পর্যায়ে শিপমেন্ট আটকে আছে।

জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. ইজাজ হোসেইন বলেন, এলপিজি একটি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। পাইপলাইনের গ্যাস না থাকলে যেমন দেশজুড়ে ভোগান্তি, এলপিজি ক্ষেত্রেও এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়। তিনি আরও বলেন, সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে, কোম্পানিগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এলসি সমস্যার দ্রুত সমাধান করতে হবে, যাতে সাধারণ ভোক্তা অতিরিক্ত খরচ ও সংকটের মুখে পড়তে না হয়।

পরিস্থিতি থেকে স্পষ্ট যে, সরকারি নির্ধারিত দাম বাজারে কার্যকর হচ্ছে না। শীতকালীন উচ্চ চাহিদা, সীমিত সরবরাহ এবং এলসি জটিলতা মিলিতভাবে ঢাকাবাসীর জন্য এলপিজি ব্যবহারে গুরুতর সমস্যা তৈরি করেছে। সাধারণ ব্যবহারকারীদের দৈনন্দিন রান্নাবান্না ও জীবিকা সচল রাখতে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপ ও বাজার নিয়ন্ত্রণের তৎপরতা এখন সময়ের দাবি।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com