যথাযোগ্য মর্যাদায় ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪২তম শাহাদতবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবস পালন করে।
স্থায়ী মিশনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখার মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু করা হয়।
১৫ আগস্টের শহিদদের উদ্দেশ্যে মিশনের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী একমিনিট নিরবতা পালন এবং শহিদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।
বিকেলে মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান ‘আলোচনা পর্ব’। অনুষ্ঠানে জাতির পিতার জীবন ও কর্মের ওপর প্রণীত একটি ভিডিও প্রদর্শন করা হয়। এরপর দিবসটি উপলক্ষে দেওয়া রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।
আলোচনা পর্বে অন্যান্যের মধ্যে অংশগ্রহণ করেন যুক্তরাষ্ট্রে সফররত খুলনা-২ আসনের এমপি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, গাজীপুর-২ আসনের এমপি এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মো. জাহিদ আহসান রাসেল, হবিগঞ্জ-৩ আসনের এমপি এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান।
আলোচনা পর্বের শুরুতে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন জাতিসংঘে বাংলাদেশ মিশনের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন। স্থায়ী প্রতিনিধি তার বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জাতির পিতা জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো বাংলায় যে বক্তব্য দিয়েছিলেন তার মধ্যেই ২০১৫ সালে জাতিসংঘ গৃহীত এসডিজি’র ১৭টি অভীষ্টের অধিকাংশই প্রতিফলিত হয়েছে, যা বিস্ময়কর।
তিনি আরো বলেন, জাতির পিতার হত্যাকারীরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে মুছে ফেলতে চেয়েছিল কিন্তু তা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশের মানুষ জাতির পিতার জীবন ও আদর্শকে ধারণ করেছে। আর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নিয়ে বিশ্বের বুকে সগৌরবে এগিয়ে চলছে বাংলাদেশ।
সকল এমপি তাদের বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় পলাতক জাতির পিতার খুনিদের দেশে ফিরিয়ে নিতে প্রবাসী বাঙালিদের ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান।