বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, আগস্ট মাস বাঙালির জাতির জীবনে শোকাবহ মাস। ১৫ আগস্ট ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের নির্মমভাবে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়নি, ইতিহাসের কালো আইন করে হত্যার বিচারের পথ রোধ করেছিলো। খুনিদের রাখা হয়েছিল আইনের ঊর্র্ধ্বে। বাঙালি জাতিকে এই বিচারের জন্য দীর্ঘ ৩৭ বছর অপেক্ষা করতে হয়েছিল।
তিনি আজ ঢাকার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গোপালগঞ্জ জেলা সমিতি আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনাসভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
গোপালগঞ্জ জেলা সমিতির সভাপতি শেখ কবির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি, উম্মে রাজিয়া কাজল এমপি ও কাজী একরাম উদ্দিন আহমেদ বক্তব্য রাখেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধুর দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের ফসল বাংলাদেশের স্বাধীনতা। অসীম সাহস আর মানুষের প্রতি তাঁর ভালবাসা তাকে জাতির পিতার আসনে অধিষ্ঠিত করেছে। তিনি বলেন, জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণে বলে ছিলেন “আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রিত্ব চাইনা আমি বাংলার মেহনতি মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চাই”। তিনি বলেন, জাতির পিতা মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য আজীবন কাজ করে গেছেন।
স্পিকার বলেন, জাতির পিতা আমাদের দিয়েছেন স্বাধীন দেশ, লাল সবুজের পতাকা এবং একটি সংবিধান। বাঙালির অধিকার আদায়ে তিনি ছিলেন অবিচল। অন্যায়ের কাছে তিনি কখনও মাথানত করেন নি। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি উন্নত, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে বিশ্বের বুকে প্রতিষ্ঠিত হবে।