রাজধানীতে এক হাজার শয্যাবিশিষ্ট জাতীয় শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট নির্মাণে জাপানের সহায়তা চাইলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
বাংলাদেশ সফররত জাপানের কোচি বিশ^বিদ্যালয় গ্রাজুয়েট স্কুল অভ্ নার্সিং এর স্পেশালি অ্যাসাইন্ড প্রফেসর ড. হিরোকো মিনামি আজ সচিবালয়ে মন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে আসলে তিনি এই সহায়তা চান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে বাংলাদেশ গত আট বছরে যে সাফল্য অর্জন করেছে তা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে। শিশু মৃত্যু হার কমিয়ে এমডিজি অর্জনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে জাতিসংঘ পুরস্কৃত করেছে। সরকার এই সাফল্যকে আরো ঊর্ধ্বে নিয়ে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে অঙ্গীকারবদ্ধ। এ লক্ষ্যে সরকার দেশের সাত বিভাগে একটি করে শিশু হাসপাতাল স্থাপনের প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং চতুর্থ জাতীয় স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর প্রকল্পে তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঐকান্তিক ইচ্ছায় রাজধানীতে একটি শিশু হাসপাতাল নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এই হাসপাতাল নির্মাণে জাপান এগিয়ে আসলে এদেশের কোটি কোটি শিশু ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে।
জাপানকে বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বিশ^স্ত বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতসহ যোগাযোগ, অবকাঠামো এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে জাপানের ধারাবাহিক অবদান এদেশের জনগণ কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। জনগণের দোরগোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা দ্রুত অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে আগামীতে সহায়তা বাড়ানোর জন্য জাপান সরকারের প্রতি আহ্বান জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদানে বাংলাদেশের কর্মসূচির ভূয়সী প্রশংসা করে হিরোকো মিনামি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভূমিকা সারা বিশে^ প্রশংসিত হচ্ছে। জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা এজেন্সির সহায়তায় বাংলাদেশে চলমান ক্যাপাসিটি বিল্ডিং অভ্ নার্সিং সার্ভিস প্রকল্পের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি এসময় মন্ত্রীকে অবহিত করেন। বাংলাদেশের হাসপাতালগুলোতে সেবার মান বাড়াতে নার্সদের শিক্ষার মানোন্নয়ন, নার্সিং প্রশাসন ও ক্লিনিক্যাল প্র্যাকটিস এর আধুনিকায়নের জন্য পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্প গত বছরের জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। ঢাকায় জাতীয় শিশু হাসপাতাল স্থাপনে বাংলাদেশের প্রস্তাব সক্রিয়ভাবে বিবেচনার আশ^াস প্রদান করেন তিনি।
স্বাস্থ্য বিভাগের সচিব সিরাজুল হক খান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব মোঃ সিরাজুল ইসলাম, নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক তন্দ্রা শিকদার, জাইকার বাংলাদেশ প্রতিনিধি তাকাতোশি নিশিকাতো (ঞধশধঃড়ংযর ঘরংযরশধঃড়)সহ মন্ত্রণালয় ও জাইকার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।