মতিন আব্দুল্লাহ
ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতিতে ডুবতে বসেছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন-উত্তর ও দক্ষিণের পরিবহণ বিভাগ। গাড়ি ক্রয়, বরাদ্দ, ব্যবহার ও জ্বালানি খরচে প্রায় নির্বিঘ্নে চলছে এসব অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা। অধিকাংশ পরিবহণ চালক ও সংস্থা দুটির শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িত-এমন অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, প্রভাবশালীরা জড়িত থাকায় দীর্ঘদিনের এই অনিয়মের বিরুদ্ধে তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না কর্তৃপক্ষ। যুগান্তরের নিজস্ব অনুসন্ধান ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য।
অনুসন্ধানে জানা যায়, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের (ডিসিসি) অনুমোদিত তালিকা অনুযায়ী সর্বমোট ৩৭টি গাড়ি ক্রয় করার বিধান ছিল। এর মধ্যে ব্যক্তিগতভাবে ব্যবহারের জন্য প্রাধিকারভুক্ত কর্মকর্তার সংখ্যা ছিল ২০। বাকিগুলো অফিসের অন্যান্য কাজে ব্যবহার হতো। ডিসিসি বিভক্তির পর এক দশক পার হলেও নতুন করে গাড়ির কোনো প্রাধিকার তালিকা প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। অথচ দুই সিটিতে নতুন করে প্রাপ্যতার চেয়ে প্রায় চারগুণ বেশি গাড়ি ক্রয় করা হয়েছে। বর্তমান দুই সিটিতে ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য গাড়ির সংখ্যা ১৫৯টি। এর মধ্যে দক্ষিণে ৮৩ ও উত্তরে ৭৬টি গাড়ি রয়েছে। এসব গাড়ি ইচ্ছামাফিক ব্যবহার করছেন দুই সিটির কর্মকর্তারা। বছরে এ খাতে জ্বালানি বাবদ মোটা অঙ্কের অর্থ গচ্চা যাচ্ছে। বিস্তারিত