জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
দীর্ঘ ১৭ বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বৃহস্পতিবার দেশে ফিরে আসেন। তার আগমনকে দেশের রাজনৈতিক শূন্যতা পূরণের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ধাপ হিসেবে দেখছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রেসসচিব শফিকুল আলম।
বড়দিন উপলক্ষে খ্রিষ্টধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়কালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পবিত্র জপমালা রানী গির্জায় সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রেসসচিব এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে কিছু রাজনৈতিক শূন্যতা আছে। তারেক রহমানের আগমনে তা পূরণ হবে। তার দেশে আসার প্রভাব দেশের জন্য খুবই ইতিবাচক।”
শফিকুল আলম আরও জানান, সামনে দেশের বড় নির্বাচন রয়েছে এবং গণতান্ত্রিক উত্তরণ প্রক্রিয়া আরও মসৃণ হবে তারেক রহমানের দেশে আগমনের পর। তিনি বলেন, “দেশ একটি ‘ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশনে’ আছে। তারেক রহমানের আগমনে এই ট্রানজিশন আরও স্মুথ হবে।”
নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, তারেক রহমানের নিরাপত্তার দায়িত্ব বিএনপি দেখছে এবং সরকারের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হচ্ছে।
এদিকে, সাংবাদিকদের খোদা বকশ চৌধুরীর পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, “এটি গতকাল রাত ১২টার দিকের ঘটনা। এখনো পদত্যাগের কারণ তিনি জানতে পারেননি।”
তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে। আগে সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটে যুক্তরাজ্যের লন্ডন থেকে সিলেটে আসে বিমানটি। সেখানে যাত্রাবিরতির পর ফ্লাইটটি বেলা ১১টা ৩৯ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, তারেক রহমানের দেশে আগমন দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। দলের নেতা হিসেবে তার উপস্থিতি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নতুন গতিশীলতা আনতে পারে এবং রাজনৈতিক শূন্যতার প্রতিক্রিয়া হিসেবে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার সম্ভাবনা তৈরি করছে।
সার্বিকভাবে, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিসরে নতুন আলো এবং ভবিষ্যৎ নির্বাচনের প্রস্তুতিতে গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।