নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসনের পর আজ (বৃহস্পতিবার) দেশে ফিরে আসেন। এই উপলক্ষে রাজধানীর ৩০০ ফিট এলাকায় আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তারেক রহমান দূর থেকে দলের নেতৃত্ব দিয়েছেন এবং আমাদের গণতন্ত্র রক্ষার লড়াইকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেছেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “২৪-এর ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা ফ্যাসিস্ট সরকারকে বিতাড়িত করতে সক্ষম হয়েছি। দীর্ঘদিন নিযার্তন ও নিপীড়ন সহ্য করার পর আমাদের নেতা দেশে ফিরে এসেছেন। এই গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমরা তারেক রহমানের নেতৃত্বে কঠিন পথগুলো পাড়ি দিয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “আজ আমাদের আনন্দের দিন। একই সঙ্গে আমরা আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করি। আমরা আশা করি, তারেক রহমানের নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে দেশের গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে পারব।”
আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তারেক রহমান। বিমানবন্দর থেকে তিনি দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে পৌঁছান। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে দলের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন এবং হাজার হাজার সমর্থক অনুষ্ঠানটি অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে বিএনপি একটি নতুন গণতান্ত্রিক যাত্রার সূচনা হিসেবে দেখছে। দলের কর্মকর্তা ও কর্মীরা মনে করছেন, এ অবস্থার ফলে আগামীর নির্বাচন প্রক্রিয়ায় দলের প্রভাব ও সমর্থন শক্তিশালী হবে।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা তারেক রহমানের দীর্ঘ নির্বাসনকাল, দলের সংগ্রাম এবং দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য তার অবদানের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। অনুষ্ঠানটি শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয় এবং সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে ব্যাপক মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে।
বিএনপির নেতারা আশা প্রকাশ করেছেন যে, দেশে তারেক রহমানের উপস্থিতি দলের সমন্বয় ও জনগণের মধ্যে উদ্দীপনা সৃষ্টি করবে, যা ভবিষ্যতের রাজনৈতিক কার্যক্রমকে আরও সক্রিয় ও ফলপ্রসূ করবে।