1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
সম্পূর্ণ সুযোগ-সুবিধা থাকা সত্ত্বেও বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়নি: প্রধান বিচারপতি টিএফআই সেলে গুম ও নির্যাতন: শেখ হাসিনাসহ ১৭ আসামির অভিযোগ গঠনের আদেশ ২১ ডিসেম্বর ভূমি রেজিস্ট্রেশন ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আনার তাগিদ যুব ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে ধারাবাহিকতা বজায় ও দুর্নীতিবিরোধী পদক্ষেপে অগ্রাধিকার দেওয়ার ঘোষণা নির্বাচনী সময়ে অপতথ্য মোকাবিলায় সত্য ও যাচাইকৃত সংবাদ উপস্থাপনের আহ্বান ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে পাঁচজনের মৃত্যু, বছরে প্রাণহানি ৪০৯ শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় গণতন্ত্র ও নির্বাচন নিয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্য দেশীয় স্বাস্থ্য সেবায় আস্থা বৃদ্ধিতে কাঠমোগত সংষ্কার ও কার্যকর প্রয়োগের বিকল্প নেই; ঢাকা চেম্বার সভাপতি জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রাজনৈতিক দলের জন্য পুলিশের নিরাপত্তা প্রটোকল ও হামলা তদন্তে অগ্রগতি ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনাকে ঘিরে অভিযোগে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনার তলব

বঙ্গোপসাগরে সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়: ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তীব্রতার আশঙ্কা

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৫
  • ১৪ বার দেখা হয়েছে

আবহাওয়া ডেস্ক

দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি সুস্পষ্ট নিম্নচাপ আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। রোববার প্রাপ্ত প্রাথমিক বিশ্লেষণে জানা যায়, বর্তমানে দুর্বল অবস্থায় থাকা নিম্নচাপটি দ্রুত ঘনীভূত হচ্ছে এবং পরবর্তী ধাপে এটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আবহাওয়াবিদরা মনে করছেন, এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকলে নিম্নচাপটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

বর্তমানে আবহাওয়া ব্যবস্থা দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন দক্ষিণ আন্দামান সাগরের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত কোনো পূর্বাভাস পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হলে এটি কোনদিকে অগ্রসর হবে বা কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে—তা নির্ধারণে আরও সময় প্রয়োজন। এ ধরনের আবহাওয়া সিস্টেমের আচরণ নির্ভর করে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা, বাতাসের গতি, আর্দ্রতা এবং অন্যান্য পরিবেশগত উপাদানের ওপর।

আবহাওয়াবিদদের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, ২৫ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপটি দক্ষিণ আন্দামান সাগরের নিকটবর্তী এলাকায় আরও ঘনীভূত হবে। মালাক্কা প্রণালী এবং দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে অনুকূল পরিবেশ থাকার কারণে সিস্টেমটি ম্যাডেন-জুলিয়ান অসিলেশন (এমজে ও) পর্যায় অতিক্রম করে শক্তি সঞ্চয় করছে। এমজে ও-র প্রভাবে বৃহৎ আকারের আবহাওয়া ব্যবস্থা সাধারণত আরও সংগঠিত হয় এবং নিম্নচাপ দ্রুত গভীর নিম্নচাপে বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে।

আবহাওয়াবিদ সন্দীপ পট্টনায়ক জানান, সমুদ্রের উপরিভাগে বিস্তৃত উষ্ণ জলরাশি এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে শক্তিশালী বাতাসের প্রবাহ এ নিম্নচাপকে শক্তি জোগাচ্ছে। তাঁর মতে, শীতল বাতাসের অনুপ্রবেশ না থাকায় নিম্নচাপটি আরও দ্রুত তীব্র হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত শীতল বাতাস নিম্নচাপের শক্তি হ্রাস করে; কিন্তু বর্তমানে সে প্রভাব না থাকায় পরিস্থিতি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির জন্য অনুকূল।

তিনি আরও জানান, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে আসা শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ এবং সমুদ্রের উষ্ণতার মাত্রা বৃদ্ধি নিম্নচাপটির তীব্রতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এসব উপাদান একত্রে নিম্নচাপের ঘনীভবন, বাতাসের গতিবেগ বৃদ্ধি এবং সিস্টেমের কেন্দ্রীয় চাপ কমিয়ে ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নিতে সহায়তা করে।

বিশ্লেষণে অনুমান করা হচ্ছে, ২১ নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া এ আবহাওয়া পরিস্থিতি আগামী ২ বা ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। বিশেষত ২৬ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে নিম্নচাপটির তীব্রতা বাড়ার সম্ভাবনাই বেশি। এ সময়ের মধ্যে সিস্টেমটি দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের দিকে সরে অন্ধ্র প্রদেশ ও ওড়িশা উপকূলবর্তী এলাকায় আরও সক্রিয় হয়ে উঠতে পারে। তবে এর গতিপথ বাংলাদেশ উপকূলে প্রভাব ফেলবে কি না, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।

সমুদ্র এলাকায় বাতাসের গতিবেগও ক্রমান্বয়ে বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে। ২৫ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬০ কিলোমিটার হতে পারে। ২৬ নভেম্বর গতি বেড়ে ৬০ থেকে ৭০ কিলোমিটার এবং পরিস্থিতি অনুকূল থাকলে ৮০ কিলোমিটারেরও বেশি হতে পারে। ২৭ নভেম্বর বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত পৌঁছানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

সমুদ্রের অবস্থা দ্রুত খারাপ হওয়ার সম্ভাবনায় সতর্কতা জারি করতে পারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। জেলেদের গভীর সমুদ্রে না যেতে নির্দেশনা দেওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকায় জলোচ্ছ্বাস, অতিবৃষ্টি এবং দমকা হাওয়ার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। এ কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।

আবহাওয়া বিশেষজ্ঞদের মতে, বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চলে নভেম্বর মাসে ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টির প্রবণতা তুলনামূলকভাবে বেশি। মৌসুমি বায়ুর প্রভাব কমে যাওয়া এবং সমুদ্রের তাপমাত্রা উষ্ণ থাকায় এই মাসে একাধিক নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। গত কয়েক বছরে এ সময়ে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড়গুলো বাংলাদেশসহ উপকূলবর্তী দেশগুলোতে বিভিন্ন মাত্রায় প্রভাব ফেলেছে। তাই বর্তমান নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হলে এর সম্ভাব্য প্রভাব মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি গ্রহণের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে পরবর্তী ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা হতে পারে এর গতিপথ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের সময়। এ সময়ে উপগ্রহ চিত্র, বাতাসের গতি, সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ও বায়ুচাপ বিশ্লেষণ করে সম্ভাব্য অগ্রগতির ধারণা পাওয়া যাবে। দেশের উপকূলীয় অঞ্চলে সম্ভাব্য প্রভাব বিবেচনায় জরুরি পরিস্থিতি ব্যবস্থাপনায় সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো প্রস্তুত রয়েছে বলে জানা গেছে।

পরিস্থিতি অনিশ্চিত থাকায় আবহাওয়া বিশেষজ্ঞরা নিয়মিত আপডেট অনুসরণের পরামর্শ দিয়েছেন। নিম্নচাপটি অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে এর গতিপথ, তীব্রতা এবং সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে আরও স্পষ্ট তথ্য প্রকাশ পাবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com