1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
হাইকোর্টে ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্থগিত চাওয়ার রিট উত্থাপিত হয়নি, আবেদন খারিজ বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা পরিস্থিতি নিয়ে নরসিংদীতে দোয়া মাহফিল খালেদা জিয়ার চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সের আগমন স্থগিত তফসিল ঘোষণার প্রস্তুতি সম্পন্ন, বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ রেকর্ড মোহাম্মদপুরে মা-মেয়েকে গলাকেটে হত্যা; পালিয়ে গেছে পরিচয় দেওয়া গৃহকর্মী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সার্বিক প্রস্তুতি জোরদার বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা বিএনপি নেতার অভিযোগ ধর্মের নামে বিভ্রান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা শাপলা চত্বরের ঘটনাবলি নিয়ে প্রেস সচিবের বিবরণে নতুন দাবি চট্টগ্রাম বন্দরে অবৈধ অর্থ আদায় নিয়ে শ্রম উপদেষ্টার মন্তব্য

লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ জামায়াতের

রিপোর্টার
  • আপডেট : সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ২ বার দেখা হয়েছে

জাতীয় ডেস্ক

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত হয়নি বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটির দাবি, নির্বাচনের পরিবেশ এখনো কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় পৌঁছায়নি এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুত গ্রহণ না করলে নির্বাচনী স্থিতিশীলতা ব্যাহত হতে পারে। সোমবার নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে দলের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার এসব বক্তব্য তুলে ধরেন।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার জানান, তফসিল ঘোষণার সময়সূচি, নির্বাচনী প্রস্তুতি এবং প্রবাসী ভোটারদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া–এসব বিষয়ে তাদের দল ইসির কাছে স্পষ্ট ব্যাখ্যা চেয়েছে। তার মতে, প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু নিবন্ধন প্রক্রিয়া জটিল হওয়ায় অনেকেই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এছাড়া ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের নিয়োগ কীভাবে হবে এবং সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে ইসির ভূমিকা কী হবে—এসব বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

জামায়াতের অভিযোগ, নির্বাচনী এলাকায় বৈধ ও অবৈধ অস্ত্রের উপস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও অস্ত্রধারীদের গ্রেপ্তারের ব্যাপারে ইসিকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিরাপদ না হলে প্রার্থীদের প্রচারণা ও ভোটারদের নিরাপদে কেন্দ্রে যাওয়ার অধিকার বিঘ্নিত হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, সিসি ক্যামেরা স্থাপন সুষ্ঠু ভোটের একটি কার্যকর উপায় হলেও ব্যয়সংক্রান্ত কারণে ইসি তা বাস্তবায়নে অনাগ্রহ প্রকাশ করেছে। তার মতে, নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে খরচকে প্রধান বিবেচ্য না রেখে কার্যকর প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি।

বৈঠকে জামায়াত আরও অভিযোগ করে যে, নির্দিষ্ট একটি রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রচারণা চালাতে গিয়ে এলাকায় হামলার শিকার হচ্ছেন। এ ধরনের ঘটনা নির্বাচন পূর্ব সহিংসতা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং নির্বাচনী মাঠে সমান সুযোগের পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, তফসিল ঘোষণার পর এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ইসি কীভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে, তা তারা জানতে চেয়েছেন।

তিনি আরও জানান, ইসি তাদের আশ্বস্ত করেছে যে কমিশন নিজস্ব ক্ষমতা ও আইনগত কাঠামোর মধ্যে থেকে সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে। তবে জামায়াতের মতে, সমান সুযোগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে এখনো নানা ঘাটতি রয়েছে। একটি প্রশ্নের জবাবে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, সব দলের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ইসির ভূমিকা আরও কার্যকর হওয়া প্রয়োজন। কোনো নির্বাচনী কর্মকর্তা যদি দায়িত্ব পালনে অনিয়ম করেন, তবে দলটি তা কমিশনের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে উপস্থাপন করবে এবং ইসি ব্যবস্থা নেবে বলে তাদের জানিয়েছে।

এর পাশাপাশি, ভোট নিয়ে আশঙ্কা আছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, তাদের দল নির্বাচন কমিশনের আশ্বাসকে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে আস্থা রাখতে চায়। তবে তিনি মনে করেন, মাঠপর্যায়ের বাস্তবতা এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম দৃশ্যমানভাবে শক্তিশালী না হলে ভোটের পরিবেশ চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।

বিশ্লেষণমূলকভাবে দেখা যায়, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে আস্থা, নিরাপত্তা এবং সমান সুযোগের প্রশ্নটি গুরুত্ব পাচ্ছে। লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকলে নির্বাচনী প্রতিযোগিতা প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ কমে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। জামায়াতসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল যে বিষয়গুলো ইসির কাছে তুলে ধরছে, তা নির্বাচন পূর্ব প্রস্তুতির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

এমন প্রেক্ষাপটে নির্বাচন কমিশনের সামনে প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো—নির্বাচনের আগ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, প্রশাসনিক কাঠামোর নিরপেক্ষ ভূমিকা নিশ্চিত করা এবং প্রযুক্তিগত ও নিরাপত্তামূলক প্রস্তুতি জোরদার করা। প্রবাসী ভোটারদের অন্তর্ভুক্তি, সিসি ক্যামেরার বিস্তৃত ব্যবহার, অস্ত্র উদ্ধার অভিযান এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর নজরদারি—এসব বিষয় আসন্ন নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা ও স্বচ্ছতার ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে।

সামগ্রিকভাবে, নির্বাচন কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় যে বিষয়গুলো উঠে আসছে, তা ইঙ্গিত করছে যে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে প্রাসঙ্গিক পক্ষগুলোর মধ্যে উদ্বেগ, প্রত্যাশা ও দাবি—সবকিছুই সমানভাবে সক্রিয় রয়েছে। এখন কমিশনের কার্যকরী পদক্ষেপই নির্ধারণ করবে নির্বাচনী প্রক্রিয়া কতটা স্বচ্ছ, শান্তিপূর্ণ ও সমান সুযোগের পরিবেশে সম্পন্ন হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com