1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

‘পত্রিকায় লিখে কী করবেন, আমার কিছুই হবে না’

রিপোর্টার
  • আপডেট : বুধবার, ৬ অক্টোবর, ২০২১
  • ২০২ বার দেখা হয়েছে

আবুল কাসেম, সাতক্ষীরা

পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৭৬ জন কর্মী। ফলে এসব কর্মী রীতিমতো অর্ধাহারে ও অনাহারে দিন কাটাচ্ছেন। তাঁদের সন্তানদের লেখাপড়াও বন্ধ হওয়ার উপক্রম। অচিরেই বেতন-ভাতা শোধ না করলে চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়বে তাঁদের পরিবার।

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ সূত্রে জানা যায়, সামেক হাসপাতালে ৭৬ জন আউটসোর্সিং কর্মী রয়েছেন। প্রতি মাসে তাঁরা বেতন বাবদ ১৬ হাজার ১৩০ টাকা পাবেন। ব্যাংকে কর্মীদের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে এই টাকা চলে যাওয়ার কথা। তবে বেতন কম দেওয়ার ফাঁদে ফেলে কর্মীদের বঞ্চিত করছে নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ। ১২ হাজার ৫০০ টাকা দিয়ে কর্মীদের কাছ থেকে স্বাক্ষর নেওয়া হয় ১৬ হাজার ১৩০ টাকার। তাও দেওয়া হয় দুই-তিন মাস পর পর।

দুর্নীতি ঠেকাতে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক বেতন বিলে স্বাক্ষর করছেন না। তিনি বলেছেন, বিধি মোতাবেক কর্মচারীদের বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে যোগ হলে তিনি টপ সিটে স্বাক্ষর করবেন। ফলে পাঁচ মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না সামেক হাসপাতালের ৭৬ জন কর্মচারী।

এ বিষয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী জহিরুল হক জনি বলেন, `শ্রমের তুলনায় বেতন কম। তার পরে আবার পাঁচ মাস ধরে বেতন নেই। সংসার আর চালাতে পারছি না। ধারদেনা করে এত দিন চালিয়েছিলাম। এখন মুদিসহ অন্যান্য দোকান বাকিও দেয় না।’

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক আউটসোর্সিং কর্মী বলেছেন, `আমাদের মাসিক বেতন ১৬ হাজার ১৩০ টাকা হলেও কর্তৃপক্ষ ১৪ হাজার ৪৫০ টাকার কাগজে স্বাক্ষর করিয়ে নিতেন। আর ২ থেকে ৩ মাস পর পর মাসিক হারে টাকা দিতেন ১২ হাজার। এভাবে গত সাড়ে চার বছরে কর্মীদের প্রায় ১ কোটি টাকা পিমা অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেড কর্তৃপক্ষ আত্মসাৎ করেছে। আমরা প্রতিবাদ করতে পারি না চাকরি চলে যাওয়ার ভয়ে।’

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পিমা অ্যাসোসিয়েটস লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল বলেন, `আপনারা পত্রিকায় লেখালেখি করে কী করবেন? কিছুই হবে না আমার। এর আগেও আমার বিরুদ্ধে অনেক লেখালেখি হয়েছে। আমি ঊর্ধ্বতনদের ম্যানেজ করে চলি। অনেক জায়গায় টাকা দিতে হয়। আমি বাড়ির জমি বিক্রি করে তো তাঁদের টাকা দেব না।’

হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা বলেন, `নিয়ম হলো, কর্মীদের বেতন ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফার করে আমার কাছে বিল দাখিল করা। আমি সেই বিল পাস করলে ঠিকাদার কর্মীদের প্রদেয় বিল পাবেন। আমি লক্ষ করেছি, ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা না দিয়ে তৈরিকৃত বিলে স্বাক্ষর করিয়ে আমার কাছে আনা হয়। আমি পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছি, বিধি মোতাবেক আমার কাছে বিল প্লেস করতে। টাকার ঘাটতি নেই। বিধি মোতাবেক এলেই ঠিকাদারের বিল দেওয়া হবে।’

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com