1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
  3. jeradmin@deshmediabd.com : :
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:২১ অপরাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
ব্রাজিলে বাস দুর্ঘটনায় ৩৮ জন নিহত ডলারের বাজার আবার অস্থির Govt grants 10-year tax holiday for renewable energy firms Mobile surveillance used in pinpointing victims’ location: Commission গ্যাস সংকটে উৎপাদন নেমে অর্ধেকে, কয়েক শ কারখানা বন্ধ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ইসির পরিকল্পনায় ডিসেম্বর ২০২৫ ভোটার তালিকায় ত্রুটি নেই দাবি ইসির সরকারের এক পক্ষ ২০২৬-এর এপ্রিলে, বিএনপিসহ সমমনারা চায় ২০২৫-এর জুনের মধ্যে ভোট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের প্রথম ধাপের খসড়া তালিকা প্রকাশ ২০২৫-এর মধ্যেই নির্বাচন চায় বিএনপি ও বিভিন্ন দল লাইসেন্স ও ট্যাক্সের আওতায় আসছে ব্যাটারিচালিত রিকশা ফের আন্দোলনে নামছে বিএনপি দ্রুত সুস্পষ্ট রোডম্যাপ দাবি, চলছে নির্বাচনি প্রস্তুতি

করদাতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য দিতে গড়িমসি

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০১৮
  • ৭৫ বার দেখা হয়েছে

আয়কর অধ্যাদেশের ১১৩ ধারা অনুযায়ী, কর কমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে ক্যাডার কর্মকর্তারা করদাতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাইতে পারেন। মূলত অনুসন্ধানের স্বার্থে করদাতার ব্যাংক হিসাবের তথ্য চাওয়া হয়। ইদানীং কর ফাঁকি অনুসন্ধানে তথ্য চাওয়া হলে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান অসম্পূর্ণ ও আংশিক তথ্য দিচ্ছে। এতে কর ফাঁকি উদ্ঘাটন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

১০ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোর অসহযোগিতার তথ্য তুলে ধরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আয়কর নীতি শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। ওই চিঠিতে ভুল তথ্য দেয়ার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ১৬৬এ ধারা অনুযায়ী শাস্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে করদাতার লেনদেন সংক্রান্ত তথ্য সঠিক আয় নিরূপণ ও কর আরোপের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু এনবিআর উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছে, কোনো কোনো ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান করদাতার ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন সম্পর্কে ভুল তথ্য দিচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে করদাতার তথ্য থাকা সত্ত্বেও শূন্য প্রতিবেদন পাঠানো হচ্ছে। করদাতার একাধিক হিসাব থাকা সত্ত্বেও কোনো কোনো হিসাবের তথ্য দেয়া হচ্ছে না বা আংশিক তথ্য দেয়া হচ্ছে। আবার ক্ষেত্রবিশেষে নির্ধারিত সময়ের তথ্য দেয়া হচ্ছে না, যা রাজস্ব আদায়ে বিরূপ প্রভাব ফেলছে।

তথ্য না দেয়া বা আংশিক তথ্য পাঠানোকে ইচ্ছাকৃত বলে মনে করছে এনবিআর। চিঠিতে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশের সব ব্যাংক, লিজিং কোম্পানি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে গ্রাহকের সব ধরনের লেনদেনের তথ্য সংরক্ষণ করে। তাই আয়কর বিভাগের চাহিদা অনুযায়ী করদাতা ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের তথ্য ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দেয়ার সুযোগ নেই। এ ধরনের অসহযোগিতার জন্য আয়কর অধ্যাদেশের ১৬৬এ ধারায় দণ্ড দেয়ার বিধান রয়েছে বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

১৬৬এ ধারায় বলা হয়েছে, আয়কর কর্তৃপক্ষ করদাতার তথ্য চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে যদি কোনো ব্যক্তি তার কাছে থাকা ওই করদাতার তথ্য গোপন করে অথবা ইচ্ছাকৃতভাবে ভুল তথ্য দেন, তবে সে ব্যক্তির ৩ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে গণ্য হবেন। এ ধারাটি অর্থবছরের বাজেটে অর্থ আইনের মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশে যুক্ত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে এনবিআরের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, করদাতার কর ফাঁকি অনুসন্ধানে ব্যাংক লেনদেনের তথ্য প্রয়োজন পড়ে, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু ইদানীং ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো মিথ্যা ও অসম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছে। এমনও দেখা গেছে, করদাতার ব্যাংক হিসাবের আংশিক তথ্য এনবিআরের হাতে রয়েছে। অনুসন্ধানের স্বার্থে পূর্ণাঙ্গ তথ্যের জন্য ব্যাংকে চিঠি দেয়া হয়। কিন্তু ব্যাংক থেকে জানানো হচ্ছে, ওই করদাতার কোনো তথ্যই তার কাছে নেই। এ ধরনের অসহযোগিতা রাজস্ব আদায়ের জন্য শুভকর নয়।

তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরবর্তী সময়ে এ ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে কেস টু কেস ভিত্তিতে আয়কর অধ্যাদেশে ১৬৬এ ধারার ক্ষমতা কাজে লাগানো হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com