জাতীয় ডেস্ক
মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উপলক্ষে ১৬ ডিসেম্বর কোনো ধরনের অস্থিরতার আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, গতবারের মতো এবারও বিজয় দিবসের প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপন উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ক সভার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, “বিজয় দিবস উপলক্ষে কোনো নাশকতা বা সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। রায়ের পরে কোনো ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি হয়নি এবং এদিনও তা হবে না।”
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও জানান, পূর্বের বছরের মতোই নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে এবং এতে আরও কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “আগের মতো এবারও নিরাপত্তা ব্যবস্থা বজায় থাকবে। যদিও গতবারও প্যারেড হয়নি, এবারও প্যারেড অনুষ্ঠিত হবে না।”
জাতীয় নিরাপত্তা ও সুশৃঙ্খল বিজয় দিবস উদযাপনের গুরুত্বের ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, সকল নাগরিকই দিবসটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপন করতে পারবেন।
সভায় আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং দেশের নিরাপত্তা অবস্থা। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা উল্লেখ করেন, “শেখ হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ডাদেশের পর কিছু রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয়েছিল, তবে এ মুহূর্তে কোনো সমস্যা নেই।”
একই সঙ্গে, সভায় দেশের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, “গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া কোনো ব্যক্তিকে উঠিয়ে নেওয়া উচিত নয়। তবে সম্প্রতি একজন সাংবাদিককে বাসা থেকে পুলিশ তুলে নিয়েছিল, পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখব এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশের নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সংস্থা ও পুলিশের মধ্যে সমন্বয় বাড়ানোর বিষয়েও গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি বলেন, “নিরাপত্তা ও অপরাধ তদন্ত কার্যক্রম আরও শক্তিশালী করার জন্য সংস্থাগুলোর মধ্যে সহযোগিতা বৃদ্ধি করা হবে।”
মহান বিজয় দিবসকে স্মরণীয় এবং শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের জন্য প্রশাসন সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য অনুযায়ী, সকল শহর ও জেলা পর্যায়ে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। নিরাপত্তা বাহিনী, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাগুলো সমন্বিতভাবে দিনটি সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের জন্য কাজ করবে।
এতে নাগরিকরা স্বাধীনতা ও জাতীয় ঐতিহ্য স্মরণ করার পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেন, “দেশের মানুষ যাতে শান্তিপূর্ণভাবে বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারে, সে ব্যবস্থা ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে।”