নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রবাসী বাংলাদেশি এবং দেশে থাকা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার যোগ্য ভোটাররা ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে পারবেন। ভোট কমিশন জানিয়েছে, নিবন্ধন কার্যক্রম ধাপে ধাপে অঞ্চলভিত্তিকভাবে ১৮ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে।
গতকাল, মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর), নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ অ্যাপ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান। তিনি জানান, ভোটাররা অ্যাপে তাদের তথ্য আপডেট এবং নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। নির্বাচন কমিশন দেশ ও প্রবাসে থাকা ভোটারদের জন্য স্বচ্ছ ও সুবিধাজনক প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে ডিজিটাল মাধ্যমের ব্যবহার বাড়িয়েছে।

নির্বাচন কমিশন অনুযায়ী, অঞ্চলভিত্তিক নিবন্ধনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ আমেরিকা এবং আফ্রিকার ভোটাররা ১৮–২৩ নভেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডের ভোটারদের জন্য সময় ২৪–২৮ নভেম্বর। ইউরোপীয় অঞ্চলের ভোটাররা ২৯ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন করতে পারবেন। সৌদি আরবের ভোটারদের জন্য সময় নির্ধারিত হয়েছে ৪–৮ ডিসেম্বর। দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভোটাররা ৯–১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন। মধ্যপ্রাচ্যের (সৌদি ছাড়া) ভোটাররা ১৪–২৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত অ্যাপে নিবন্ধন করতে পারবেন। বাংলাদেশে থাকা বিশেষ ভোটাররা—যেমন নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত ব্যক্তি, সরকারি কর্মকর্তা ও বিদেশে থাকা অন্যান্য যোগ্য ভোটাররা—নিবন্ধন করতে পারবেন ১৯–২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে।
নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এই ধাপে ধাপে নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করবে যে সকল ভোটার সহজে এবং সময়মতো তাদের ভোটার তথ্য সম্পন্ন করতে পারবেন। এছাড়াও, প্রবাসী ভোটারদের অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং ভোটপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহারের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপটি ব্যবহার করে প্রবাসী এবং বিশেষ সুবিধাভোগী ভোটাররা অনলাইনে নিজের ভোটার তথ্য যাচাই, নিবন্ধন এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আপলোড করতে পারবেন। কমিশন জানিয়েছে যে, সময়সূচি অনুযায়ী নিবন্ধন না করলে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ সীমিত হবে।
এই নতুন প্রক্রিয়া প্রয়োগের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশি ও বিশেষ ভোটাররা সহজে ভোট দেওয়ার সুবিধা পাবেন এবং দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের সুযোগ নিশ্চিত হবে। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, প্রযুক্তিগত সুবিধার কারণে ভোটাররা সময়মতো নিবন্ধন সম্পন্ন করতে পারবেন এবং নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও অংশগ্রহণ বাড়বে।