জাতীয় ডেস্ক
ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ান দূতাবাস বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছে। রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে দূতাবাসের একজন কর্মকর্তা গুলশানের বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চিঠি এবং ফুল হস্তান্তর করেন।
চিঠিটি বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আব্দুস সাত্তারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। রাশিয়ান দূতাবাসের পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, খালেদা জিয়ার দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হচ্ছে এবং তার সুস্বাস্থ্যের জন্য প্রার্থনা করা হচ্ছে। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, “ম্যাডাম, আমাদের হৃদয়ের গভীর থেকে আপনার দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। আপনার সুস্বার্থে প্রার্থনা করছি। মহাশক্তিশালী ঈশ্বর আপনাকে দীর্ঘ জীবন ও শক্তি দান করুন—যেন আপনি সব কষ্ট অতিক্রম করতে পারেন।”
চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দার খলদিন।
বাংলাদেশে কূটনৈতিক প্রথা অনুসারে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সুস্থতা কামনা বা সমর্থনের উদ্দেশ্যে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করে থাকে। এ ধরনের বার্তা সাধারণত রাজনৈতিক নেতাদের চিকিৎসা বা অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগত পরিস্থিতিতে পাঠানো হয়।
রাশিয়ান দূতাবাসের এই পদক্ষেপ রাজনৈতিক দিক থেকে কূটনৈতিক সম্পর্কের অংশ হিসেবে দেখা যায়। দূতাবাসের কর্মকর্তার সরাসরি গুলশান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে চিঠি এবং ফুল হস্তান্তর করা, তা বাংলাদেশ-রাশিয়া দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সৌহার্দ্যপূর্ণ দিক তুলে ধরেছে।
এ ধরনের কূটনৈতিক বার্তা রাজনৈতিক নেতাদের ব্যক্তিগত ও সামাজিক মর্যাদা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রেক্ষাপটে গুরুত্ব বহন করে। এর মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রের সরকার এবং দূতাবাস আন্তর্জাতিক সম্পর্কের প্রটোকল মেনে সাংস্কৃতিক ও কূটনৈতিক সৌহার্দ্য প্রকাশ করে।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাষ্ট্রদূতের স্বাক্ষরিত চিঠি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঘটনার প্রতি কূটনৈতিক নজর এবং সহযোগিতার ইঙ্গিত বহন করে। যদিও এটি সরাসরি কোনো রাজনৈতিক মন্তব্য নয়, তবে কূটনৈতিক পরিপ্রেক্ষিতে এটি রাজনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদার প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হয়।
রাশিয়ান দূতাবাসের এই উদ্যোগে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি কূটনৈতিক শ্রদ্ধা, আন্তর্জাতিক প্রোটোকল মেনে সৌহার্দ্য প্রকাশ এবং নেতাদের ব্যক্তিগত সুস্থতার প্রতি আন্তরিক মনোভাব স্পষ্ট হয়েছে। খালেদা জিয়ার বর্তমান চিকিৎসা পরিস্থিতিতে এই ধরণের বার্তা তার নিকটজন এবং রাজনৈতিক দলের সদস্যদের জন্য ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে।
বাংলাদেশে অতীতে বিভিন্ন দেশের দূতাবাসও রাজনৈতিক নেতাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে শুভেচ্ছা বার্তা প্রেরণ করে এসেছে। এই প্রথা কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখা, সামাজিক ও রাজনৈতিক মর্যাদা নিশ্চিত করা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্কের দৃঢ়তা প্রকাশের একটি অংশ হিসেবে বিবেচিত হয়।