জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা, সোমবার: অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করে একটি পূর্ণাঙ্গ রাজনৈতিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে সক্ষম হবে। তিনি এই মন্তব্য করেন রাজধানীর রমনা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে হযরত মাওলানা সূফী মুফতি আজানগাছী (রহ.) প্রতিষ্ঠিত হাক্কানী আঞ্জুমান বাংলাদেশের আয়োজিত ২৯তম বিশ্বজনীন প্রার্থনা সভায়।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন সভায় বলেন, “প্রত্যেক ধর্মেই শান্তির বাণী রয়েছে, তবে আমরা প্রায়শই ধর্মকে ব্যবহার করে অশান্তি সৃষ্টি করি। মানুষকে মত, পথ বা ধর্মের ভিত্তিতে বিভাজন করা উচিত নয়।” তিনি এসময় ধর্মীয় সহমর্মিতা এবং সমাজে একতার গুরুত্বের ওপর বিশেষভাবে জোর দেন।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকলে অর্থনৈতিক অগ্রগতি সম্ভব হবে এবং বিদেশি বিনিয়োগও বৃদ্ধি পাবে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং সামাজিক সংহতি দেশের অর্থনৈতিক পরিবেশকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
এই প্রার্থনা সভায় দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ধর্মীয় নেতারা অংশগ্রহণ করেন। তারা একযোগে দেশব্যাপী শান্তি, সমৃদ্ধি এবং ধর্মীয় সম্প্রীতির জন্য প্রার্থনা করেন। অনুষ্ঠানে তৌহিদ হোসেন দেশের নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি সামাজিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করার প্রয়োজনীয়তার ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, অন্তর্বর্তী সরকারের স্বচ্ছ ও সময়মতো দায়িত্ব সম্পন্ন করা দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে স্থিতিশীল রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি কেবল দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি নিশ্চিত করবে না, বরং আন্তর্জাতিক স্তরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশকে উন্নত করবে। রাজনৈতিক হস্তান্তরের সুসংগত প্রক্রিয়া দেশের প্রশাসনিক কার্যক্রমে ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের মন্তব্য রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থার স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়েছে। তিনি সতর্ক করেছেন যে, ধর্ম ও মতের ভিত্তিতে বিভাজন সৃষ্টি করলে দেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে। এ কারণে তিনি সমাজের সব স্তরের মানুষকে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান ও একতার দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদে বলা হয়, তৌহিদ হোসেনের এই বক্তব্য দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতের সম্ভাব্য হস্তান্তর প্রক্রিয়ার ওপর এক গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা প্রদান করেছে। তার বক্তব্য অনুযায়ী, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলে আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজনৈতিক সরকার গঠন এবং ক্ষমতার হস্তান্তর কার্যক্রমে কাঙ্খিত স্থিতিশীলতা আসতে পারে।