নিজস্ব প্রতিবেদক
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অধীন ২২ জন কর্মকর্তাকে সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা [ক্যাডার বহির্ভূত সহকারী সচিব] হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ নভেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়-এর ২৭ নভেম্বর ২০২৫ তারিখের স্মারক নং ৮০.০০.০০০০.০০০.১১০.১২.০০১১.২৫-২৯৯ অনুযায়ী কর্মকর্তাদের জাতীয় বেতন স্কেল, ২০১৫ অনুযায়ী ৯ম গ্রেডভুক্ত (২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা) সহকারী সচিব (ক্যাডার বহির্ভূত) পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়েছে, কর্মকর্তাদের পদোন্নতি ও নতুন নিয়োগ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে অবিলম্বে কার্যকর হবে। সিনিয়র সহকারী সচিব শিফা নুশরাত এ প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেছেন।
বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পদে নিয়োগপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন বিভাগে দায়িত্ব পালন করবেন। এ পদে নিয়োগ সরকারের মানবসম্পদ উন্নয়ন নীতিমালা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে রয়েছে নীতি প্রণয়ন, প্রশাসনিক তত্ত্বাবধান এবং বিভিন্ন সরকারি কার্যক্রমের সমন্বয়।
সরকারি কর্মকর্তাদের এই পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া দেশের প্রশাসনিক কাঠামোর স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এছাড়া, এই পদোন্নতির মাধ্যমে ক্যাডার বহির্ভূত কর্মকর্তাদের নেতৃত্বের সুযোগ বৃদ্ধি পাবে এবং প্রশাসনিক নীতিমালা বাস্তবায়নে তাদের অংশগ্রহণ আরও সুসংহত হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের দায়িত্বভার গ্রহণের ফলে বিভিন্ন বিভাগের কার্যক্রমে গতিশীলতা এবং নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণে সহায়ক ভূমিকা বৃদ্ধি পাবে। পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তারা সরকারি নীতি বাস্তবায়ন, কর্মসংস্থান পরিকল্পনা এবং সরকারি প্রশাসনের কার্যকারিতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন।
এ পদোন্নতি ও নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারি কর্ম কমিশন ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সুসমন্বিত পরিকল্পনার অংশ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে, যা প্রশাসনিক সক্ষমতা ও সরকারি সেবা প্রদান ক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। কর্মকর্তাদের নতুন দায়িত্বের মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ডের যথাযথ পর্যবেক্ষণ, কার্যকারিতা বৃদ্ধি এবং জনসাধারণের সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
পদোন্নতি প্রাপ্ত কর্মকর্তাদের এই পদে নিয়োগ প্রক্রিয়া সরকারের স্বচ্ছতা ও দক্ষতা বৃদ্ধির একটি অংশ হিসেবে দেখা হচ্ছে, যা সরকারি সেবা ও প্রশাসনিক কার্যক্রমের মান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।