জাতীয় ডেস্ক
ঢাকা, সোমবার: দেশের নির্বাচনী প্রক্রিয়া ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে সম্পন্ন করার বিষয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেসসচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনের জন্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে এবং খুব শিগগিরই নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করবে।
শফিকুল আলম জানান, বাংলাদেশের নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অবাধ, সুষ্ঠু, বিশ্বাসযোগ্য, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণভাবে আয়োজনের জন্য সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে সবসময় স্বচ্ছ ও কার্যকরী ভূমিকা রেখেছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থার অংশ হিসেবে রেকর্ডসংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি অতিরিক্ত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নির্বাচনী এলাকার নতুন ডিসি ও এসপি পোস্টিং সম্পন্ন হয়েছে এবং এর কোনো গুরুতর অভিযোগ ওঠেনি।
প্রেসসচিব বলেন, নির্বাচনী প্রচারণা ইতোমধ্যেই শুরু হয়েছে এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছে। তিনি আরও জানান, সামান্য কিছু সীমিত রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ছাড়া দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া জুলাই মাসে গৃহীত চার্টারের মাধ্যমে একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের ভিত্তি স্থাপন করা হয়েছে, যা দলগুলোর পাশাপাশি নাগরিকদের নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতিতে সহায়ক ভূমিকা রাখছে।
শফিকুল আলম মন্তব্য করেন, কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করছেন। তিনি উল্লেখ করেন, দেশবাসী এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা অবৈধ কার্যকলাপ ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত দলকে নির্বাচনে ফিরিয়ে আনা নিয়ে কোনো সমর্থন দিচ্ছেন না। তিনি বলেন, নির্বাচনী পরিবেশে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এবং শান্তিপূর্ণ ভোট গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকার কার্যক্রমে জোর দিচ্ছে।
তিনি আরও জানান, নির্বাচনী প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে প্রশাসনিক এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত সব পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মধ্যে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা, প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পোস্টিং, এবং সশস্ত্র বাহিনীর তত্ত্বাবধান। প্রেসসচিবের মতে, এই ব্যবস্থাগুলো নির্বাচনের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন এবং ভোটারদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে।
শফিকুল আলম আরও বলেন, কিছু ব্যক্তি সামাজিক মাধ্যম ও গণমাধ্যমের মাধ্যমে গুজব এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন। তিনি সতর্ক করেছেন, দেশের নাগরিকরা নিজেরাই তথ্য যাচাই করে সিদ্ধান্ত নেবেন এবং সরকারের লক্ষ্য একটি অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন আয়োজন করা।
প্রেসসচিব স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন, অন্তর্বর্তী সরকার ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে দেশের জনগণকে অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের সুযোগ দিতে প্রস্তুত। নির্বাচনের প্রস্তুতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং প্রশাসনিক প্রস্তুতি একযোগে পরিচালনার মাধ্যমে এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হবে।
এতে দেশের রাজনৈতিক প্রক্রিয়া স্বচ্ছ এবং জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সমস্ত প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।