1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০২:৩১ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা বহাল রাখল আপিল বিভাগ

রিপোর্টার
  • আপডেট : বৃহস্পতিবার, ৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৭ বার দেখা হয়েছে

 

অনলাইন ডেস্ক

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ ও গঠন প্রক্রিয়া বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, তা বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। বৃহস্পতিবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে সাত সদস্যের আপিল বেঞ্চ হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে দাখিল করা লিভ টু আপিল খারিজ করে এই রায় দেন।

হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদনকারী সিনিয়র আইনজীবী মোহাম্মদ মহসিন রশিদ অন্তর্বর্তী সরকারের গঠন ও শপথ প্রক্রিয়া নিয়ে রাষ্ট্রপতির রেফারেন্স এবং সুপ্রিম কোর্টের মতামত প্রদানের পদ্ধতি চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের দিন ধার্য করেন এবং পরবর্তীতে আবেদনটি সরাসরি খারিজ করেন। আদালতের এই আদেশের ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে আর কোনো বিচারাধীন প্রশ্ন রইল না।

শুনানিতে আপিলকারী নিজেই তার পক্ষে যুক্তি উপস্থাপন করেন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল দুজনই উপস্থিত থেকে মামলার পটভূমি, রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা এবং ১০৬ অনুচ্ছেদের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন। সংশ্লিষ্ট ইন্টারভেনার পক্ষ থেকেও আইনজীবীরা শুনানিতে অংশ নেন এবং রেফারেন্স প্রদানের বৈধতা ও প্রয়োজনীয়তা ব্যাখ্যা করেন।

২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক অচলাবস্থা ও সাংবিধানিক শূন্যতার প্রেক্ষাপটে রাষ্ট্রপতি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের কাছে সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী মতামত চান। এই অনুচ্ছেদে বলা আছে, জনগুরুত্বপূর্ণ আইনি প্রশ্ন দেখা দিলে রাষ্ট্রপতি আপিল বিভাগের কাছে উপদেষ্টামূলক মতামত চাইতে পারেন। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সের পর আপিল বিভাগ ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট মতামত প্রদান করে জানায় যে, সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে রাষ্ট্রপতির বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা যেতে পারে। এই মতামতের ভিত্তিতেই অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে প্রধান উপদেষ্টা করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন এবং উপদেষ্টাদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এই পুরো প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ করে আইনজীবী মহসিন রশিদ হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। তার যুক্তি ছিল, অন্তর্বর্তী বা তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংবিধানে অনুল্লেখিত হওয়ায় এ বিষয়ে রেফারেন্স চাওয়া যায় না। এছাড়া রেফারেন্স প্রদানের ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম অনুসরণ হয়নি বলেও তিনি দাবি করেন। রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট বেঞ্চ আবেদনটি সরাসরি খারিজ করে জানায় যে, ব্যতিক্রমী পরিস্থিতিতে রাষ্ট্রপতি সংবিধানসম্মত ক্ষমতা প্রয়োগ করে জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের উপদেষ্টামূলক মতামত চেয়েছেন এবং সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়েছেন। তাই এই প্রক্রিয়া আইনি ভিত্তিসম্পন্ন এবং গণইচ্ছার প্রতিফলন।

হাইকোর্টের রায়ে আরও উল্লেখ করা হয় যে, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থান দেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়, এবং সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে রাষ্ট্রপতির নেওয়া পদক্ষেপ ছিল জরুরি। এই আদেশের বিরুদ্ধেই আবেদনকারী লিভ টু আপিল করেন, যা বৃহস্পতিবার আপিল বিভাগ খারিজ করে।

আদালতের এই সর্বশেষ রায়ের ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে চলমান আইনি বিতর্কের অবসান ঘটল। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির উপদেষ্টামূলক মতামতপ্রাপ্তির ক্ষমতা এবং সেই মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত আদালতের এই রায়ের মাধ্যমে পুনরায় দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হলো। আইনি বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রায় ভবিষ্যতে রাষ্ট্রপতির সাংবিধানিক ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নজির হিসেবে বিবেচিত হবে, বিশেষত সংকটময় পরিস্থিতিতে নির্বাহী কার্যক্রম অব্যাহত রাখার ক্ষেত্রে।

২০২৪ সালের রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক সংকটের পর দেশকে স্থিতিশীল করার লক্ষ্যে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ এবং কার্যক্রম যে সাংবিধানিকভাবে বৈধ, তা সর্বোচ্চ আদালতের রায়ে স্পষ্ট হওয়ায় সরকার ও প্রশাসনিক কাঠামোর কার্যক্রম এখন আইনি প্রশ্নমুক্তভাবে চলমান থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com