1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২:৩৮ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে প্রস্তুত বিএনপি: মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্তের অপেক্ষা ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত: মন্তব্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এশিয়ার তিন দেশে ভয়াবহ বন্যায় মৃত প্রায় ১ হাজার ৮০০ রূপগঞ্জে কিশোরদের সাজানো ডাকাতির নাটক, তিনজন গ্রেপ্তার দক্ষিণ এশিয়ায় নতুন আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো গঠনের প্রস্তাব পাকিস্তানের ভবন নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রাজউক চেয়ারম্যান ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ব্যাপক অংশগ্রহণের আশা সালাহউদ্দিন আহমদের প্রাথমিক শিক্ষকদের ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ স্থগিত, রবিবার থেকে সব বার্ষিক পরীক্ষা শুরু রাজশাহীতে এনসিপি নেতা সারজিস আলমকে ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণার দাবি নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করার আহ্বান ভিপি সাদিক কায়েমের

সরকারি কর্মচারীদের পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নে সমাবেশ

রিপোর্টার
  • আপডেট : শনিবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
  • ৩ বার দেখা হয়েছে

 

জাতীয় ডেস্ক

আগামী বছরের জানুয়ারি থেকে নতুন পে কমিশনের সুপারিশসহ পাঁচ দফা দাবি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে রাজধানীতে জাতীয় সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী সমন্বয় পরিষদ। শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে ঢাকার আবদুল গণি রোডের নগর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় চত্বরে আয়োজিত এই সমাবেশে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, দপ্তর, অধিদপ্তর, সরকারি, আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা অংশ নেন।

সমাবেশের শুরুতে বক্তারা জানান, সমন্বয় পরিষদের ১২৪টি শাখা সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এসব শাখার প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আয়োজিত জাতীয় সমাবেশে কর্মচারীদের দাবি বাস্তবায়নে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়। বক্তারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি কর্মচারীরা ন্যায্য কাঠামো, যোগ্যতা অনুযায়ী সুবিধা এবং কর্মস্থলে নিরাপত্তা চান। এসব দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার উপস্থাপন করা হলেও বাস্তবায়নে বিলম্ব হওয়ায় কর্মচারীরা ক্ষুব্ধ ও উদ্বিগ্ন।

সমাবেশে জানানো হয়, ডিসেম্বর ২০২৫-এর মধ্যে নতুন বেতন কমিশনের প্রজ্ঞাপন জারি ও ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে তা কার্যকর করার দাবি দীর্ঘদিনের। বক্তারা বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কর্মচারীদের জীবনযাত্রার ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। ফলে বেতন কাঠামোর আধুনিকায়ন ও বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্য আনতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন। তারা মনে করেন, বেতন কমিশন বাস্তবায়নে বিলম্ব হলে মাঠপর্যায়ে কর্মরত সরকারি কর্মচারীদের জীবিকায় নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

বক্তারা পুরোনো টাইমস্কেল, সিলেকশন গ্রেড এবং শতভাগ পেনশন ব্যবস্থা পুনর্বহালের বিষয়টি বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তাদের বক্তব্য অনুযায়ী, এসব সুবিধা বাতিলের ফলে বহু কর্মচারী ক্যারিয়ার উন্নয়ন, পদোন্নতি এবং অবসরের পর আর্থিক নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সমাবেশে প্রস্তাব করা হয়, সচিবালয়ের মতো সুসংগঠিত নিয়োগবিধি প্রণয়নে একটি জাতীয় সার্ভিস কমিশন গঠন করা হলে নিয়োগ ও পদোন্নতিতে জটিলতা কমবে এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম আরও স্বচ্ছ হবে।

অস্থায়ী কর্মচারীদের নিয়মিতকরণ সমাবেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দাবি হিসেবে উপস্থাপিত হয়। বক্তারা বলেন, ওয়ার্কচার্জ, কন্টিনজেন্ট পেইড, মাস্টাররোল ও দৈনিকভিত্তিক মজুরির কর্মচারীরা বহু বছর ধরে একই কর্মস্থলে কাজ করলেও তাদের চাকরির নিরাপত্তা নেই। এ ধরনের অনিশ্চয়তা কর্মক্ষেত্রে অস্থিরতা তৈরি করছে। স্থায়ী নিয়োগের মাধ্যমে এসব কর্মচারীর অভিজ্ঞতা দক্ষতার সঙ্গে কাজে লাগানো যাবে বলে তারা অভিমত দেন।

সমাবেশে রেশন সুবিধা নিশ্চিত করা, ব্লকপোস্টে পদোন্নতির ব্যবস্থা প্রণয়ন, আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রথা বাতিল এবং শূন্যপদে রাজস্বখাতে নিয়মিত নিয়োগ দেওয়ার দাবিও উত্থাপন করা হয়। বক্তারা উল্লেখ করেন, ন্যায্যমূল্যে মানসম্মত রেশন সরবরাহ কর্মচারীদের ওপর আর্থিক চাপ কমাবে এবং প্রশাসনিক কাজে স্থিতিশীলতা আনবে। আউটসোর্সিং বন্ধ না হলে দক্ষ সরকারি কর্মচারীদের কর্মসংস্থানে অনিশ্চয়তা বাড়বে বলে তারা মনে করেন।

সরকারি কর্মচারীদের ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার বিষয়ে সমাবেশে আইএলও কনভেনশনের ৮৭ ও ৯৮ ধারার আলোকে সংগঠনগত স্বাধীনতা নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী কর্মচারীদের সংগঠিত হওয়ার অধিকার নিশ্চিত হলে কর্মপরিবেশ আরও উন্নত হবে এবং দাবি-সংক্রান্ত বিষয়গুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা সহজ হবে।

সমাবেশের সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির সভাপতি মোহাম্মদ আজিম। শুরুতে বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান নোমানুজ্জামান। অতিরিক্ত মহাসচিব কামাল হোসেন শিকদার বলেন, কর্মচারীদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে দীর্ঘদিন ধরে তারা আন্দোলন করে আসছেন। তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ঘোষিত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি ও দাবি বাস্তবায়ন না হলে কর্মচারীরা পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। বক্তারা আরও বলেন, দাবিগুলো বাস্তবায়িত হলে প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়বে, কর্মচারীদের মনোবল উন্নত হবে এবং সরকারি সেবা প্রদানে গতি আসবে।

সমাবেশে কর্মচারীরা আশা প্রকাশ করেন, সরকার দাবি বিবেচনা করে শিগগিরই গঠনমূলক পদক্ষেপ নেবে। তারা মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হলে সরকার ও কর্মচারীদের মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে এবং প্রশাসন আরও কার্যকরভাবে পরিচালিত হবে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com