দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণমন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বলেছেন, মায়ানমার থেকে আগত রোহিঙ্গাদের বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রেজিস্ট্রেশন করা হবে। একাজে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর এর অংশগ্রহণ ও সহযোগিতা থাকবে। শরণার্থীরা মাদক বা অন্য কোন অবৈধ কিছু নিয়ে যাতে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করা হচ্ছে।
তিনি আজ কক্সবাজারের নয়াপাড়া শরণার্থী ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সংবাদকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে একথা বলেন। আইন মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি আব্দুল মতিন খসরু, সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান ও আশিকুর রহমান এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ্ কামাল এসময় উপস্থিত ছিলেন।
ত্রাণ মন্ত্রী বলেন, সরকার রোহিঙ্গাদের সাময়িক আশ্রয়দান সম্পূর্ণ মানবিক দৃষ্টিকোন থেকে বিবেচনা করছে। এতো বিপুলসংখ্যক বিদেশি নাগরিকের আশ্রয়দান, বাংলাদেশের জন্য কষ্টকর হলেও, এ মানবিক সংকটের সময়ে রোহিঙ্গাদের সাময়িক সময়ের জন্য সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাদের জন্য বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব, সকল ধরনের মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিবেশী দেশসহ সকলের সাথে সুসম্পর্কে বিশ^াস করে। আলাপ আলোচনা ও পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে অল্প সময়ের মধ্যে এ সংকটের সমাধান সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। মায়ানমার অতি দ্রুত তার নাগরিকদের ফিরিয়ে নেবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, ২৫ আগস্টের পর থেকে নতুন করে বিপুলসংখ্যক মায়ানমারের নাগরিকগণ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, নদী ও সাগর পথে বাংলাদেশে আসছে। ২৫ আগস্টের পর থেকে আজ পর্যন্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে ৩ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে যা অতীতের যে কোন সময়ের চেয়ে এবার প্রবেশের হার অনেক বেশি। তিনি বলেন, নারী শিশু ও অসহায় অনুপ্রবেশকারীদের করুণ চিত্র বিশ^বাসীর নজরে এসেছে এবং বাংলাদেশ ও বিশ^বাসী এ নিয়ে বিশেষ উদ্বিগ্ন। অসহায় এই মানুষগুলোর দুঃখ-দুর্দশা মানবিক সংকট তৈরি করেছে। আন্তর্জাতিক সংগঠন ও সম্প্রদায়কে এ অসহায় মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, এ লোকগুলোকে ফিরিয়ে নিতে তারা যেন মায়ানমারকে চাপ দেয়।