বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, দেশে চালের কোন সংকট নেই। প্রয়োজনীয় চাল মজুত রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত চালের সরবরাহ রয়েছে। হাওর এলাকায় পানি প্রবেশ এবং বন্যার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, চাল আমদানি করে তা পূরণ করা হচ্ছে। সরকার ইতোমধ্যে সবধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিন চাল আমদানি হচ্ছে। বেসরকারি পর্যায়ে প্রতিদিন ট্রাকে করে চাল আসছে। একটি কুচক্রী মহল ভারত সরকারের একটি স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা চিঠির মাধ্যমে বাংলাদেশে চাল রপ্তানি বন্ধের বিষয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। কিছু পত্র-পত্রিকায়ও এর ওপর ভিত্তি করে এ সংবাদ প্রচার করা হয়েছে, যা সঠিক নয়। ভারত সরকার চাল রপ্তানি বন্ধ করেনি বা এ ধরনের কোন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেনি। প্রতিদিন ভারত থেকে বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে। এ ধরনের স্বাক্ষরবিহীন মিথ্যা চিঠিতে বিভ্রান্ত হওয়ার কারণ নেই।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, চালের সরবরাহ ও মূল্য স্থিতিশীল রাখতে সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। খোলাবাজারে ন্যায্যমূল্যে চাল বিক্রয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অবিলম্বে দেশের সাধারণ মানুষ এ চাল ক্রয় করতে পারবেন। চালের অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। জেলা প্রশাসক এবং পুলিশ সুপারগণকে অভিযান পরিচালনা করার নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে যারা এসব কাজ করছে, তাদের কাউকে ছাড় দেয়া
হবে না।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সেক্টরে প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ চাল আমদানি হচ্ছে। চাল আমদানির ক্ষেত্রে কোন ধরনের জটিলতা নেই। বাজারেও চালের স্বাভাবিক সরবরাহ রয়েছে। দেশের মানুষের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই।