মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে আছে। তবে সব শিশুর শারীরিক ও মানসিক বিকাশ ঘটানো সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি অভিভাবকদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার শিশু কোথায় কার কাছে রাখছেন, কে নিরাপদ, কোথায় রাখা নিরাপদ, মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হবে কিনা তা ভাবতে হবে।’
আজ ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) উদ্যোগে ‘শিশুর প্রারম্ভিক বিকাশ ও প্রতিকূলতা : গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন। ডিআরইউ’র গোলটেবিল লাউঞ্জে এই অনুষ্ঠানের সহযোগিতায় ছিল ‘ইউনিসেফ’।
প্রতিমন্ত্রী মিয়ানমারে চলমান সহিংসতায় বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থী শিশুদের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ^বাসীর প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আসা রোহিঙ্গা শিশুদের যে মানসিক ও শারীরিক ক্ষতি হয়েছে তা কিভাবে পূরণ করবে বিশ্ব? আমরা চাই না, বিশ্বের একটি শিশুরও ক্ষতি হোক। আমরা ত্রাণ দিতে পারব। কিন্তু শিশুদের মানসিক বিকাশে যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ করতে পারব না।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মাদকাসক্ত শিশুদের রাস্তা থেকে ফিরয়ে এনে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে দেওয়া বড় চ্যালেঞ্জ। ‘আমরা পথে কোনো শিশু দেখতে চাই না। তাদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছি। দেশে বর্তমানে জনসংখ্যার ৪৬ শতাংশ শিশু। এদের বিকাশ ঘটাতে পারলে এটি হবে সম্পদ।’
ডিআরইউ সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বাদশা’র সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুরসালিন নোমানীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের এডুকেশন সেকশনের ম্যানেজার মোহাম্মদ মহসীন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া, ডিআরইউ সাবেক সভাপতি, সিনিয়র সাংবাদিক এম শফিকুল করিম সাবু, সিনিয়র সাংবাদিক সেলিম সামাদ, ডিআরইউ সাবেক সহ-সভাপতি মাহমুদা চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য শাহনাজ বেগম, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিআরইউর
সহ-সভাপতি আবু দারদা যোবায়ের, যুগ্ম সম্পাদক তোফাজ্জল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।