1. admin@deshmediabd.info : admin :
  2. support@bdsoftinc.info : adminr :
সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০:৫৯ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ সংবাদঃ
থাইল্যান্ডের বিমান হামলায় সীমান্ত উত্তেজনা তীব্র, যুদ্ধবিরতি হুমকির মুখে নিকাহ রেজিস্ট্রার নিয়োগে কওমি সনদধারীদের নতুন যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত বিএনপি নেতাদের বক্তব্যে ধর্মীয় বিভাজন প্রসঙ্গ ও রাজনৈতিক কর্মসূচির দিকনির্দেশনা ডিইউজে নেতৃত্বকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষায় আরও জোরালো ভূমিকা রাখার আহ্বান গাজা ভূখণ্ডের প্রশাসনিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ব্লেয়ার–নেতানিয়াহুর গোপন বৈঠক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে কেরানীগঞ্জের বিস্তৃত এলাকায় দিনের বেলা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে গাজায় যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ইসরায়েলি হামলায় নতুন করে প্রাণহানি বৃদ্ধি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রবাসী ভোটার নিবন্ধন ২ লাখ ৪৯ হাজার ছাড়িয়েছে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য সমন্বয় আজ থেকে কার্যকর বিএনপির সমাপনী কর্মসূচিতে তারেক রহমানের বক্তব্যে দুর্নীতি দমন ও গণতন্ত্রের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর

ডিইউজে নির্বাচনের স্থগিতাদেশ: প্রার্থীদের স্মারকলিপি, ১৫ নভেম্বর ভোট আয়োজনের দাবি

রিপোর্টার
  • আপডেট : রবিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ২৬ বার দেখা হয়েছে

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) নির্বাচন পুনরায় আগামী ১৫ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে ২০ জন নির্বাচনী প্রার্থী শ্রম অধিদপ্তরে স্মারকলিপি জমা দিয়েছেন। নির্বাচনের পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোট আয়োজনের জন্য তারা নির্বাচন কমিটির পক্ষ থেকে দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

রবিবার, ২৬ অক্টোবর, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে এই স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়। প্রার্থীদের পক্ষ থেকে এতে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের বিষয় উল্লেখ করে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্তের বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্ধারিত তারিখে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলা হয়েছে।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাচন গত ১৮ অক্টোবর স্থগিত করা হয়, যা বিভিন্ন কারণে অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠে। নির্বাচনের স্থগিত হওয়ার ঘোষণার পর, নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ২০ জন প্রার্থী একত্রিত হয়ে শ্রম অধিদপ্তরে স্মারকলিপি দেন, যাতে নির্বাচনটি পূর্বনির্ধারিত তারিখে আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হয়।

প্রার্থীদের স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের গঠনতন্ত্রের অনুচ্ছেদ ১৩ এর ৬ নম্বর ধারা অনুযায়ী, নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা নির্বাচন কমিটির নেই। কেবল নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তে নির্বাচন স্থগিত হতে পারে। তবে নির্বাচন কমিটির প্রধান বা সদস্যরা, এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী প্রায় ৮৫ জন প্রার্থীর সঙ্গে কোনো পূর্ব আলোচনার মাধ্যম ছাড়াই নির্বাচন স্থগিতের আদেশ জারি করেন। ফলে, নির্বাচনের পূর্বঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দাবি জানান তারা।

এছাড়া স্মারকলিপিতে আরো বলা হয়েছে, নির্বাচন স্থগিত হওয়ার ফলে প্রায় ২ হাজার ২৭০ জন সদস্যের ভোটাধিকার ক্ষুণ্ণ হতে পারে। তাদের পক্ষে নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ভোটগ্রহণের দাবি তোলা হয়েছে। প্রার্থীরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, যদি নির্বাচনের দেরি হয়, তবে ইউনিয়ন সদস্যদের মধ্যে হতাশা ও অস্থিরতা সৃষ্টি হতে পারে, যা ভবিষ্যতে সংগঠনের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

এই নির্বাচনে ২০ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করছেন, যাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রার্থীদের মধ্যে আছেন, সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী দিদারুল আলম, সহ-সভাপতি প্রার্থী রফিক মুহাম্মদ, যুগ্ম সম্পাদক প্রার্থী খন্দকার আলমগীর হোসাইন ও ফারুক আহমেদ সুজন, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রার্থী ইকবাল মজুমদার তৌহিদ এবং ডিএম আমিরুল ইসলাম, দপ্তর সম্পাদক প্রার্থী আব্দুল্লাহ মজুমদার, জনকল্যাণ সম্পাদক প্রার্থী ইসরাফিল ফরাজী, প্রচার সম্পাদক প্রার্থী মো. শিমুল হাসান এবং নির্বাহী সদস্য প্রার্থী কেফায়েত শাকিল, মো. বাকি বিল্লাহ, ফখরুল ইসলাম, মো. জহির আলম সিকদার, মো. ইসমাইল হোসেন বাবু, মো. মজিবুর রহমান সরকার, জাহিদুর রহমান, মুজাহিদুল ইসলাম, শেখ মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ও মাহমুদুল হাসান।

ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, দেশের সবচেয়ে পুরোনো ও প্রভাবশালী সাংবাদিক সংগঠনগুলোর একটি, এর নির্বাচন সদস্যদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়া। যদি এই নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত না হয়, তবে এটি সংগঠনের কার্যক্রম ও সদস্যদের আস্থা নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলতে পারে। প্রার্থীদের মতে, নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের মাধ্যমে সদস্যদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং সংগঠনকে শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করা উচিত।

ডিইউজে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী মহলে এই নির্বাচনের ওপর গভীর নজর রয়েছে। নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখে ভোট গ্রহণ নিশ্চিত না হলে, সংগঠনের ভবিষ্যতে অন্যান্য সমস্যাও সৃষ্টি হতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কর্তৃপক্ষের কাছে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় এবং সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের মাধ্যমে তারা সংগঠনের শান্তিপূর্ণ এবং সুস্থ নির্বাচন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করতে সক্ষম হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রার্থীরা।

এখন পর্যন্ত, ১৫ নভেম্বরের নির্বাচন আয়োজনে শ্রম অধিদপ্তর থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে নির্বাচন প্রক্রিয়া শীঘ্রই নির্ধারিত তারিখে আয়োজনের ওপর সকলের নজর নিবদ্ধ রয়েছে।

s
এই বিভাগের আরো সংবাদ
© All rights reserved © 2021 deshmediabd.com